Man Tossing Coin in Flight Engine: ৪ ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ল বিমান, ইঞ্জিনে টপাটপ কয়েন ফেলছিলেন যাত্রী! কেন জানেন?

বিমানের উত্তরণের নির্ধারিত সময় ছিল সকাল ১০ টা। তবে সেই সময় রওনা হতে পারেনি বিমান। এরপর ৪ ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ে বিমান। নেপথ্যে এক যাত্রীর আজব কাণ্ড! ঘটনা চিনের। সেখানের চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্সের বিমানে এক যাত্রী প্লেনের ইঞ্জিনে কয়েন ছুড়ছিলেন। আর সেই কারণেই বিমান ছাড়তে ৪ ঘণ্টা দেরি! ঘটনাটি ঘটেছে চিনের সানায়া থেকে বেজিং গামী বিমানে।

ততক্ষণে ছুড়ে দিয়েছেন ৩ থেকে ৪ টি কয়েন। তাও আবার বিমানের ইঞ্জিনে। এরপরই যাত্রীকে জেরা করতে শুরু করেন বিমানের কর্মীরা। জেরার মুখে পড়ে শেষমেশ যাত্রী জানান, তিনি বিমানের ইঞ্জিনে কয়েন ছুড়ছিলেন, আর সেটি তিনি কেন করছিলেন তাও জানান। যাত্রীর দাবি, ইঞ্জিনে কয়েন ছুড়লে তা তাঁকে সৌভাগ্য এনে দেবে। কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে যাত্রার এই কাণ্ডের জেরে বিমান শেষমেশ ৪ ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ে। কারণ, যাত্রী ততক্ষণে জানিয়েছেন, তিনি একাধিক কয়েন ফেলে দিয়েছেন বিমানের ইঞ্জিনে। আর সেই ঘটনার পর বিমানের ইঞ্জিন ঠিকঠাক রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে সময় যায় বিমান সংস্থার। তারপর ছাড়ে বিমান।

 চিনের এই ঘটনা রীতিমতো অবাক করেছে অনেককে। যে বিমানের ছাড়ার কথা বেলা ১০ টার সময়, তা একজন যাত্রীর কুসংস্কারের ফলে দুপুর ২.১৬ মিনিটে ছাড়ে। স্বভাবতই বিরক্ত হন বাকি যাত্রীরা। এদিকে, এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ বিমানের ইঞ্জিন যাচাই করে দেখেন সেখানে কয়েন রয়েছে। তবে সর্বসাকুল্যে কয়টি কয়েন, তা জানা যায়নি। এয়ারলাইন্সের তরফে ঘটনাকে ‘অসভ্য ব্যবহার’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বিমানের ভিতর এভাবে জিনিস ফেলা যেত কতটা ভয়ঙ্কর, তার কথা তুলে ধরে সতর্ক বার্তা দিয়েছে এয়ারলাইন্স। বলা হয়েছে,যে এটি বিমান চলাচলের নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুতর বিষয় এবং যিনি এমনটা করবেন, তিনি শাস্তির মুখোমুখি হবেন। যদিও বিমান কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট করে জানায়নি যে কোনও বিশেষ ঘটনাকে উল্লেখ করে তারা এমনটা বলছে কি না। 

চিনের সানায়া থেকে বেজিং-গামী বিমানের এই ঘটনা ছাড়াও ২০২১ সালে এমন আরও একটি ঘটনা ঘটে চিনে। সেবারও বিমানের ইঞ্জিনে এক যাত্রী কয়েন ফেলছিলেন। আর তাঁরও দাবি ছিল, তিনি সৌভাগ্য ফেরাতে এমন কাণ্ড করছিলেন। সেই বিমানে ছিলেন ১৪৮ জন যাত্রী। বিমান যাচ্ছিল ওয়েইফ্যাং থেকে হাইকু পর্যন্ত। সৌভাগ্যবশত, সেবার বিমানবন্দরের কর্মীরা বিমানটি উড়ানের আগে রানওয়েতে কিছু মুদ্রা লক্ষ্য করেন এবং তারা ক্রুদের সম্ভাব্য বিপদ সম্পর্কে অবহিত করেন, যার ফলে ফ্লাইট বাতিল করা হয়।