বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজ মানেই এখন উত্তাপ। নিদাহাস ট্রফিতে ‘নাগিন ড্যান্সের‘ পর ওয়ানডে বিশ্বকাপে ‘টাইমড আউট বিতর্ক‘ উত্তাপ ছড়িয়েছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সদ্য শেষ হওয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের সমতা ফেরানোর দিনে নতুন করে যুক্ত হয় স্নিকো বিতর্ক। অনেকেই ধারণা করেছিলেন, আপাতত ‘টাইমড আউট’ বিতর্ক ঢাকা পড়ে গেছে। কিন্তু না, তৃতীয় ম্যাচে আবারও ঘুরে ফিরে এলো ‘টাইমড আউট বিতর্ক‘।
শনিবার বাংলাদেশকে ২-১ ব্যবধানে সিরিজে হারানোর পর লঙ্কান ক্রিকেটারদের উদযাপনে ছিল এমন ইঙ্গিত। এদিন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা হাতের ঘড়ির দিকে ইঙ্গিত করে পুরোনো সেই আলোচনা মনে করিয়ে দিয়েছেন। এটাকে ইতিবাচকভাবে নিচ্ছে না বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘আগ্রাসীভাবে এটা নিয়ন্ত্রণের কিছু নেই। ওরা ওই টাইমড আউট নিয়েই তো আছে, তাই দেখাইসে। আমার মনে হয় ওরা এখনও (ওটা থেকে) বের হতে পারেনি। আমার মনে হয় যে বেরিয়ে আসা উচিত। বর্তমানে থাকা উচিত। আমরা খেলার নিয়মের বাইরে কিছু করিনি। একটু বেশিই মাতামাতি করছে তো করুক, এটা নিয়ে আমরা চিন্তিত না।’
এদিকে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে তাওহীদ হৃদয় আউট হওয়ার পর কিছুক্ষণের জন্য মাঠে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। হৃদয়কে লঙ্কান ক্রিকেটারদের জটলার মধ্যে তেড়ে যেতে দেখা গেছে। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররাও ছিলেন আক্রমণাত্মক রূপে। তবে ঠিক কী হয়েছিলো সেই ব্যাপারে কিছু বলতে পারলেন না অধিনায়ক শান্ত, ‘জানি না আসলে কী হয়েছে।’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ হারলেও বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে এই ফল কাজে দেবে বলে মনে করেন শান্ত, ‘অবশ্যই এ ধরনের উইকেটেই টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হওয়া উচিত। বোলারদেরও অভিজ্ঞতা হচ্ছে আরও ভালোভাবে যে, ভালো উইকেটে কীভাবে বোলিং করতে হয়। ব্যাটারদের ১৭০-১৮০-২০০ রান তাড়া করা লাগে সেরকম ধারণা আসছে। বিশ্বকাপের আগে এটা আমার মনে হয় ভালো প্রস্তুতি।’