When Abhijit Ganguly meets Narendra Modi: মোদীর হাতে শিস ছুঁইয়ে রাজনৈতিক জীবনের সূচনা করলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে মাথা ঠেকিয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু করলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শনিবার শিলিগুড়ির কাওখালি ময়দানে বিজেপির জনসভায় তাঁর সাহসিকতার প্রশংসাও করলেন মোদী। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে দেখে রাজনীতির কারবারিদের মন্তব্য, পাকা রাজনীতিকের মতোই এদিন মোদীকে সামলেছেন অভিজিৎবাবু। এভাবে চলতে থাকলে বিজেপিতে তাঁর ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।

প্রধানমন্ত্রীর সভায় যোগদান করতে শনিবার দুপুরেই শিলিগুড়ি পৌঁছে গিয়েছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাতে আসেন স্থানীয় বিধায়ক শংকর ঘোষ। এদিনের সভায় প্রধনমন্ত্রী আসার আগে বক্তব্য রাখেন তিনি। তোলেন ‘নো ভোট টু তৃণমূল’ স্লোগান। প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে এসে বসলে দেখা যায়, তাঁর দু’পাশে বসেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সুকান্তবাবুর পাশেই বসেছেন অভিজিৎবাবু। মঞ্চে ওঠার পর সৌজন্য বিনিময় শেষ করে প্রধানমন্ত্রী নিজের আসনে বসতেই পাশ থেকে শুভেন্দুবাবু মঞ্চে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের উপস্থিতির কথা জানান। সঙ্গে সঙ্গে ঝুঁকে সুকান্ত মজুমদারের সামনে দিয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দিকে হাত বাড়িয়ে দেন মোদী। প্রথমে বসেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে করমর্দন করেন অভিজিৎবাবু। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়ান তিনি। প্রধানমন্ত্রীর হাত ছোঁয়ান কপালে।

আরও পড়ুন: রাত পোহালেই তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশ, ডিম–ভাতের সঙ্গে আর কী থাকছে মেনুতে?‌

এখানেই শেষ নয়, নিজের বক্তব্যের শেষে ফের অভিজিৎবাবুর দিকে এগিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী। ফের হাত মেলান দু’জনে। এবারও ঝুঁকে প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান জানান অভিজিৎবাবু। দু’জনের মধ্যে কিছু কথা হয়। পরে সুকান্ত মজুমদার জানান, প্রধানমন্ত্রী অভিজিৎবাবুকে বলেছেন, ‘আপনি খুব সাহসিকতার কাজ করেছেন।’

বিজেপিতে যোগদান করেই প্রধানমন্ত্রীর সভায় গুরুত্বপূর্ণ জায়গা পাওয়া ও তার পর মোদীর হাত কপালে ঠেকানোয় অভিজিৎবাবুর দ্রুত রাজনৈতিক উত্থান হতে চলেছে বলে মনে করছেন অনেকে। তাদের দাবি, বিজেপির সংস্কৃতিতে এই ধরণের সৌজন্য বিনিময় বিশেষ ভূমিকা রাখে। এই সহবৎ না জানায় বিজেপিতে অনেকে সুযোগ পেলেও সদ্ব্যবহার করতে পারেন না। সেদিক থেকে এদিন অ্যাডভান্টেজ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।