Abhijit Ganguly at Siliguri:প্রথম রাজনৈতিক সভায় ‘নো ভোট টু তৃণমূল’ স্লোগান তুললেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

অবসর গ্রহণের ২ দিনের মধ্যেই যোগদান করেছিলেন বিজেপিতে। আর বিজেপিতে যোগদানের ২ দিনের মধ্যে শিলিগুড়িতে প্রধানমন্ত্রীর সভায় হাজির হয়ে ‘নো ভোট টু তৃণমূল’ স্লোগান তুললেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, শপথ নিন, তৃণমূলকে একটা ভোটও নয়।

মোদীর সভায় রাজনৈতিক ইনিংয়ের সূচনা করে শনিবার শিলিগুড়ি লাগোয়া কাওয়াখালি ময়দানে অভিজিৎবাবু বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় আসীন একটি দল, তার নাম আমি মুখেও আনতে চাই না। কারণ এই দলটি সম্পূর্ণ দুর্বৃত্ত দ্বারা গঠিত। এই দুবৃত্তরা কম নম্বর প্রাপকদের টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি করেছে। পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাব্যবস্থাকে শেষ করে দেওয়ার রাস্তায় হেঁটেছে। তার পর আসে খাদ্য দুর্নীতি। পশ্চিমবঙ্গের খাদ্যমন্ত্রী জেলে রয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রী জেলে রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা পাওয়ার পর তার একাংশ তৃণমূল নেতাদের হাতে তুলে দিতে হয়েছে’।

আরও পড়ুন: ‘ভগবান মনে করি না’, অভিজিতকে দুষে বলছেন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা

তিনি বলেন, ‘আজকে একটা নির্বাচন সামনে আছে। এই নির্বাচনে সেই দুষ্কৃতীদলকে একটা শিক্ষা দিতে হবে। সেই শিক্ষা হচ্ছে তাদের পশ্চিমবঙ্গ থেকে উৎখাত করতে হবে। এই দুবৃত্তদলটিকে বুঝিয়ে দিতে হবে, তোমাদের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। শিক্ষা, খাদ্য, আবাস দুর্নীতির মূল্য তাদের চোকাতেই হবে। আজকে ৪২টা লোকসভা আসনের নির্বাচন ঘোষণা হতে চলেছে, তাতে দুবৃত্তদের দল তৃণমূল কংগ্রেসকে একটা ভোটও দেবেন না। এখান থেকে শপথ নিয়ে যান, তৃণমূলকে একটা ভোটও নয়। আমাদেরকে ৪২-এ ৪২টা আসনই দখল করতে হবে। যাতে তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গ থেকে মুছে যায়’।

তাঁর দাবি, ‘আমরা খবর পাচ্ছি, তৃণমূল দলটি আস্তে আস্তে ভিতর থেকে ভাঙতে শুরু করেছে। তাদের বহু কর্মী এবং নেতা দল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। কারণ সিবিআই ও ইডি সেই দুবৃত্ত দলের নেতাদের ধাওয়া করেছেন। তাদের সঙ্গে আর কেউ থাকতে চায় না।

আরও পড়ুন: ফের ধাক্কা গেরুয়া শিবিরে, দল ছাড়লেন ঝাড়গ্রামের সাংসদ

এর পরই তৃণমূলের নাম করে সরাসরি আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, ‘আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে আমি আপনাদের একটা শপথ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানাব, দুবৃত্তদল তৃণমূল কংগ্রেসকে একটি ভোটও নয়। এরা নারী নির্যাতন করে। সন্দেশখালির ঘটনা আপনারা জানেন। এই তৃণমূল কংগ্রেসকে একটা ভোটও নয়। এই শপথ আমাদের নিতেই হবে যাতে ২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে তাদের বিদায়ের পথটা দেখিয়ে দেওয়া যায়। নো ভোট টু তৃণমূল, তৃণমূলকে একটা ভোটও নয়’।