Narendra Modi at Siliguri: রাজ্য থেকে তৃণমূলকে হঠানোর দরজা খুলবে লোকসভা ভোটেই, শিলিগুড়িতে বললেন মোদী

নয় দিনে চতুর্থবার পশ্চিমবঙ্গে সভা করে ফের তৃণমূলকে আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার বিকেলে শিলিগুড়ির কাওয়াখালি ময়দানের সভা থেকে মোদী বললেন, তৃণমূলের কাজ শুধু নারী নির্যাতন আর গরিবের টাকা লুঠ করা। লোকসভা নির্বাচনেই রাজ্য থেকে তৃণমূলকে হঠানোর দরজা খুলবে বলে এদিন মন্তব্য করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আপনাদের বিনামূল্যে রান্নার গ্যাসের সংযোগ দিয়েছি। কিন্তু এখানকার তৃণমূল সরকার ১৪ লক্ষের বেশি মহিলাকে উজ্জ্বলা যোজনার রান্নার গ্যাসের সংযোগও দিতে দিচ্ছে না।

আরও পড়ুন: রাত পোহালেই তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশ, ডিম–ভাতের সঙ্গে আর কী থাকছে মেনুতে?‌

বাংলায় দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল সরকার দলিত, আদিবাসী, ওবিসি, আদিবাসী বিরোধী তৃণমূল সরকার আপনার রেশন প্রকল্পে দুর্নীতি করে রেখেছে। এদের নেতা, এদের মন্ত্রী রেশন দুর্নীতিতে জেলে আছে। মোদী বিনামূল্যে রেশনের সঙ্গে বিনামূল্যে চিকিৎসার গ্যারান্টিও দিয়েছে। কিন্তু দুর্নীতি ও গরিব বিরোধী তৃণমূল সরকার এখানে আয়ুষ্মান যোজনা লাগুই করতে দেয়নি। তৃণমূল সরকার আপনাকে প্রতি পদে লুঠ করছে। মোদী দিল্লি থেকে ১০০ দিনের কাজের টাকা পাঠায়। কিন্তু এখানকার তৃণমূল সরকার নিজেদের তোলাবাজদের সুবিধার জন্য এখানে ২৫ লক্ষ ভুয়ো জবকার্ড বানিয়ে লোকেদের দিয়েছে। মোদী গরিবের ঘরের জন্য টাকা পাঠালে তৃণমূল সরকার তোলাবাজদের বাছাই করা লোকেদের আপনার টাকা দিয়ে দেয়। আপনার কষ্টে, আপনার সমস্যায় তৃণমূলের একটুও কষ্ট হয় না। সন্দেশখালিতে গরিব, দলিত, আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে তৃণমূলের নেতারা কী কী করেছে তা নিয়ে গোটা দেশে আলোচনা হচ্ছে। নারী নির্যাতন ও গরিবের টাকা লুঠ করা এটাই তৃণমূলের তোলাবাজদের কাজ’।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিজেপি শান্তি ও সৌহার্দ্যের দ্বারা সমস্ত প্রত্যাশা ও স্বপ্ন পূরণ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই তো হাজার হাজার বছরের অপেক্ষার পরে অযোধ্যায় এক নয়ানাভিরাম রাম মন্দির তৈরি হয়েছে’।

আরও পড়ুন: প্রথম রাজনৈতিক সভায় ‘নো ভোট টু তৃণমূল’ স্লোগান তুললেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ‘মোদী গরিবদের সব থেকে বেশি সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু এই কাজ সেই পরিবারবাদীদের পছন্দ নয়, যারা ক্ষমতায় থাকতেই রাজনীতিতে এসেছে। তাই তারা ষড়যন্ত্র করে। তৃণমূল, কংগ্রেস ও বামেদের ইন্ডি জোট এটাই করে। তৃণমূলের লোকেদের ভাইপোর চিন্তা। কংগ্রেস নেতারা তাদের রাজ পরিবারের ছেলে মেয়েদের এগিয়ে দিতে চান। আর বামেদের এদের সঙ্গে ভারসাম্য রাখতে হয়, যাতে তাদের গাড়ি চলতে থাকে। এরা আপনার সন্তানের কথা ভাবে না। আপনার সন্তানের কথা যদি কেউ ভাবে সে হল মোদী, বিজেপি, NDA জোট’।

এর পরই রাজ্য থেকে তৃণমূলকে হঠানোর ডাক দেন মোদী। বলেন, ‘গরিব বিরোধী, দলিত – আদিবাসী – মহিলা বিরোধী তৃণমূলকে হঠানোর দরজা লোকসভা নির্বাচনেই খুলবে। তাই উত্তরববঙ্গের সব লোকসভা, সব বুথে পদ্ম ফোটাতে হবে’।