‘‌ওইরকম সুন্দর মুখ দেখে আর ভোট দেবে না’‌, জুন মালিয়াকে সরাসরি কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের

ব্রিগেড থেকে জনগর্জন সভায় একধাক্কায় ৪২টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। জনতার দরবারে দাঁড়িয়ে এভাবে প্রার্থী তালিকা কোনও রাজনৈতিক দল আগে ঘোষণা করেনি। রাজ্য–রাজনীতিতে এমন নজির নেই। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের এই প্রার্থী তালিকা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। বিজেপি এখনও ৪২টি আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারেনি। প্রথম দফায় যে ২০টি নাম ঘোষণা করা হয়েছে তার মধ্যে থেকে একজনকে তুলে নিতে হয়েছে। সেক্ষেত্রে এখন ২৩ জনের নাম ঘোষণা করতে হবে বিজেপিকে। এই ব্রিগেডের সভা থেকে মেদিনীপুর লোকসভা আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের নামও প্রকাশ্যে এসেছে। ঘাসফুলে টিকিটে লড়ছেন মেদিনীপুরের বিধায়ক জুন মালিয়া। যা নিয়ে কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ। সেটা নিয়ে এখন চর্চা শুরু হয়েছে।

যদি সব ঠিক থাকে তাহলে মেদিনীপুর থেকে আবার টিকিট পাবেন দিলীপ ঘোষ। আর না পেলে সেটা রাজ্য–রাজনীতিতে বড় খবর হয়ে দাঁড়াবে। আর দিলীপ ঘোষ টিকিট পেলে লড়াই করতে হবে জুন মালিয়ার বিরুদ্ধে। এবার খড়গপুর শহরের খড়্গপুরের সাউথ এলাকায় একটি চায়ের দোকানে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে চা চক্র থেকে জুন মালিয়াকেই কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ। আজ, সোমবার সকাল থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন ব্লকের একাধিক এলাকায় জুন মালিয়ার নামে শুরু হয়েছে দেওয়াল লিখন। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জুন মালিয়াকে ৪০ হাজারের বেশি ভোটের লিড দেবে দাঁতন বলে দাবি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি।

আরও পড়ুন:‌ আবার সন্দেশখালিতে জারি হল ১৪৪ ধারা, সিপিএমের সভা কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে

এদিকে মেদিনীপুরের আসনটি নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ এখানের বিধায়ক জুন মালিয়া অনেক কাজ করেছেন। তাছাড়া এলাকায় ঘুরে বেরিয়ে জনসংযোগ করেছেন সারা বছর। রাজ্য সরকারের সামাজিক প্রকল্পগুলি সরাসরি মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দিয়েছেন। তাই মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন জুন মালিয়া। আর সাংসদ হিসাবে দিলীপ ঘোষ রেলের কিছু কাজ করেছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও প্রকল্প এখানে আসেনি। রেলের নানা কাজ হয়েছে। সেক্ষেত্রে কাজের নিরিখে এগিয়ে রয়েছেন জুন মালিয়া। জুন মালিয়ার বিরুদ্ধে দিলীপ ঘোষ দাঁড়ালে কেমন হবে লড়াই?‌ উঠছে প্রশ্ন।

অন্যদিকে এই প্রশ্ন এখন শুনতে হয়েছে দিলীপ ঘোষকে। তবে তিনি সরাসরি জুন মালিকা কটাক্ষ করেছেন। যা নিয়ে সমালোচনা চলছে। এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‌জুন মালিয়াকে আমার শুভেচ্ছা। দল ওঁকে প্রার্থী করেছে। মেদিনীপুরের মানুষ অনেক লড়াই দেখেছে। এখানে বড় বড় লড়াই হয়েছে। রাজনীতির বড় বড় নেতাকেও দেখেছি এখানে। অনেক বিশিষ্ট নেতা যারা সারা ভারতবর্ষে বিখ্যাত ছিলেন। মেদিনীপুর থেকে তারা গিয়েছেন। মানুষ নরেন্দ্র মোদীর দিকে তাকিয়ে উন্নয়নের কাজ দেখেছে এখানে। সেদিকেই মানুষ ভোট দেবে। তাছাড়া উন্নয়ন দিয়ে খড়্গপুরের চেহারা পাল্টে দেওয়ার চেষ্টা করেছি রেলের মাধ্যমে। মানুষ এটা দেখবে। আমার মনে হয় ওইরকম সুন্দর মুখ দেখে আর ভোট দেবে না।’‌