Birbhum: মেয়ের পৈতে দেবেন চিকিৎসক দম্পতি, ঘটা করে বীরভূমে হবে অনুষ্ঠান

ব্রাহ্মণ হলে ছেলেদের পৈতে হওয়ার একটা রীতি রয়েছে। কিন্তু মেয়েদের পৈতে হচ্ছে তেমন কোনও অনুষ্ঠানের কথা শোনা যায় না বিশেষ। কিন্তু মেয়েরাও উপবীত ধারণ করতে পারেন। বৈদিক রীতিতে নাকি তেমন একটা রেওয়াজ ছিল। এমনটাই দাবি এক চিকিৎসক দম্পতির। বীরভূমের চিকিৎসক দম্পতি তাঁদের মেয়ের জন্য পৈতের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। সেই সঙ্গেই তাঁরা দাবি করছেন বৈদিক যুগে মেয়েদের দ্বিজা হওয়ার রেওয়াজ ছিল। সেটাই ফিরিয়ে আনতে চাইছেন তাঁরা। 

বীরভূমের সিউড়ির চিকিৎসক দম্পতি। বসন্ত চট্টোপাধ্য়ায় ও কৌশানী চট্টোপাধ্য়ায়। তাঁদেরই কন্যা কৈরভী। তাঁরই পৈতের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। রীতিমতো কার্ড ছাপিয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সিউড়ির রামকৃষ্ণপল্লির বাসভবনে আগামী ২০শে মার্চ এই পৈতের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। কয়েকদিন আগেই গিয়েছে নারী দিবস। গোটা দেশে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে সরব হয়েছিল। ফেসবুকে, হোয়াটস অ্যাপে নানা বার্তা। কিন্তু বাস্তবে কি কন্যারা তাঁদের অধিকার যথাযথ পান? 

আর মেয়েদের সেই হারিয়ে যাওয়া অধিকারকে ফিরিয়ে আনার জন্যই চিকিৎসক দম্পতির এই প্রচেষ্টা। রীতিমতো তথ্য়-প্রমাণ দিয়ে তাঁরা দেখিয়ে দিয়েছেন মেয়েদেরও পৈতে হওয়া সম্ভব। 

ওই চিকিৎসক দম্পতির কন্যা কলকাতার একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। তারই পৈতের আয়োজন করেছে তার বাবা-মা। আনন্দবাজার অনলাইনের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে কৈরভীর অন্নপ্রাশনের সময় পুরোহিত যজ্ঞ করতে চাননি। সেই সময় পুরোহিত জানিয়েছিলেন, যজ্ঞ কেবলমাত্র ছেলের অন্নপ্রাশনের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। সেই সময় ওই চিকিৎসকের বাবা এনিয়ে প্রতিবাদ করেন। তাঁর যুক্তি ছিল ছেলেদের অন্নপ্রাশনে যদি যজ্ঞের আয়োজন করা যায় তবে মেয়েদের অন্নপ্রাশনেও সেটা করা সম্ভব। 

এরপর নানা পুঁথি থেকে তথ্য সংগ্রহ করে দেখা যায় মেয়েদের অন্নপ্রাশনে ষজ্ঞ করার ক্ষেত্রে আপত্তি ওঠার কথা নয়। তখনই তাঁরা ঠিক করে রেখেছিলেন মেয়ের পৈতে দেবেন তাঁরা। সেই মতো তথ্য় অনুসন্ধান করাও হয়। আর শেষ পর্যন্ত সেই শুভদিন প্রায় আসন্ন। এবার কৈরভীর পৈতে হবে। যাবতীয় রীতি মেনেই সেই অনুষ্ঠান হবে। সেই মতো কার্ড ছাপানো হয়েছে। 

পশ্চিম বর্ধমানে বৈদিক সমাজ উপনয়নের দিনক্ষণ ঠিক করে দিয়েছে বলে খবর। তবে এনিয়ে নানা ভিন্নমতও রয়েছে। উপনয়নের যৌক্তকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অনেকে। তবে আপাতত চিকিৎসক দম্পতি মেয়ের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য় সবরকম উদ্যোগ নিচ্ছেন।