‘‌দুর্নীতির পান্ডা জগন্নাথের হাত থেকে নদিয়াবাসীকে উদ্ধার করতে চাই’‌, আক্রমণ মুকুটমণির

ব্রিগেডের জনগর্জন সভা থেকে তাঁর নাম প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে তাঁকে দেখা গিয়েছিল নারী দিবসের মিছিলে। সেদিনই যোগ দেন তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে। হ্যাঁ, তিনি বিজেপি বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী। যাঁকে রানাঘাট থেকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। একেবারে জগন্নাথ সরকারের বিপরীতে তাঁকে দাঁড় করানো হয়েছে। তাতেই চাপে পড়ে গিয়েছে বিজেপি। আর প্রার্থী হয়েই মুকুটমণি অধিকারী সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‌দুর্নীতির অন্যতম পান্ডা জগন্নাথ সরকারের হাত থেকে নদিয়াবাসীকে আমি উদ্ধার করতে চাই। মূলত এই কারণেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছি।’‌ রবিবার কলকাতার ব্রিগেড ময়দানে তৃণমূল কংগ্রেসের জনগর্জন সভা মঞ্চ থেকে নদিয়ার রানাঘাট কেন্দ্রে সদ্য দলত্যাগী রানাঘাট দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক মুকুটমনি অধিকারীর নাম রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে ঘোষণা করে তৃণমূল নেতৃত্ব।

এদিকে রানাঘাট নিয়ে আলোচনা করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তার উপর মুকুটমণিকে বিজেপি প্রার্থী না করার জেরে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে মুকুটমণি যোগাযোগ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। অভিষেক রাজি হতেই খেলা ঘুরে যায়। এবার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুকুটমণি অধিকারী। তাঁর কথায়, ‘‌এখানে বিজেপি সাংসদ কোনও উন্নয়ন করেননি। মানুষ এখানে কাজ চায়। পরিষেবা চায়। রাজ্য সরকারের একাধিক সামাজিক প্রকল্প মানুষ পেয়েছে। সেখানে কেন্দ্র থেকে কি পেয়েছে?‌ এই প্রশ্ন মানুষ করছেন। তাই মানুষের কাজ করতেই আমার তৃণমূলে আসা।’‌

আরও পড়ুন:‌ আজই নয়াদিল্লি যাচ্ছেন মহম্মদ সেলিম, তৃণমূল প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতেই পরিষ্কার জোটের রাস্তা

অন্যদিকে এবার মুকুটমণি অধিকারীকে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় প্রাপ্তি হিসেবে রবিবারের জনগর্জন সভা মঞ্চ থেকে মুকুটমণির নাম প্রার্থী তালিকায় প্রকাশ করে তৃণমূল নেতৃত্ব। মুকুটমণি এখানে মতুয়া ভোট ভালই পাবেন। কারণ তিনি এখানের ভূমিপুত্র। তাই প্রার্থী হয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘‌বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার দুর্নীতিগ্রস্থ। আর জগন্নাথ সরকারের অত্যাচারে নদিয়াবাসী অতিষ্ঠ।’‌ জগন্নাথ সরকারের নামে অনেক অভিযোগ থাকলেও তিনিই এবার বিজেপির পক্ষ থেকে টিকিট পেয়েছেন। তাছাড়া ২০১৯ সালে জিতেছিলেন জগন্নাথ এই কেন্দ্র থেকেই।

তবে এখন হাওয়া অনেক পরিবর্তন হয়েছে। সেটা বুঝতে পারছেন অনেকেই। তাছাড়া মমতাবালা ঠাকুরকে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে মতুয়াদের মন জয় করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই গোটা বিষয়টি নিয়ে মুকুটমণি অধিকারী বলেন, ‘বিজেপিতে থাকাকালীন আমি দলকে ১০০ শতাংশ দিয়েছি। এখন আর কিছু দেওয়ার নেই। আর জগন্নাথ সরকারের বিরুদ্ধে কল্যাণীর এইমসে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তোলা সহ নানা চাল কল থেকে অবৈধভাবে টাকা তোলার অভিযোগ আছে। সৎ, শিক্ষিত, মার্জিত মানুষকে এখন সাধারণ জনগণ বিশ্বাস সমর্থন করেন। তাই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে জগন্নাথ সরকারকে আমি পরাজিত করে জয়ী হবো।’‌