Bidhan Nagar Pet Hospital: পশু হাসপাতাল এবার বিধাননগরে, কবে থেকে শুরু হচ্ছে পরিষেবা

কলকাতার বাড়িতে বাড়িতে রয়েছে পোষ্য। যদিও পর্যাপ্ত চিকিৎসার বড়ই অভাব। আসলে পশু চিকিৎসা কেন্দ্র থাকলেও, তা বেশ ব্যয়বহুল। তাই মধ্যবিত্তের পক্ষে সবটা বহন করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। অনেকেই আবার চিকিৎসা দিতে না পেরে নিজেদের প্রিয় প্রাণটিকে হারিয়ে ফেলছেন। কেউ বা ইচ্ছে থাকলেও পোষ্য রাখতে পারছেন না। তবে, সল্টলেক, বাগুইআটি, কেষ্টপুর, রাজারহাটের অনেক বাড়িতেই পোষ্য রয়েছে। বিশেষত আজকাল কুকুর পোষার প্রবণতা ব্যাপকভাবে বাড়ছে।

কোন কোন পশুর চিকিৎসা করা হবে:

এবার পোষ্যদের জন্য হাসপাতাল বানাচ্ছে বিধাননগর পুরনিগম। কুকুরের চিকিৎসা দিয়েই শুরু হবে পরিষেবা। তারপর ধীরে ধীরে চিকিৎসার হাত বাড়ানো হবে, অন্যান্য প্রাণীদের দিকে। সবটাই অল্প খরচে। এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিধাননগর পুরসভার মেয়র স্বাস্থ্য পারিষদ বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার বাসিন্দারা পোষ্যদের জন্য হাসপাতালের দাবি তুলে আসছেন। সেই দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে হাসপাতালের জন্য জায়গা বরাদ্দ হয়েছে। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।’

কোথায় গড়ে উঠছে হাসপাতাল:

২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের বাজেটে পোষ্যদের জন্য হাসপাতাল তৈরির প্রস্তাব রেখেছিল পুরনিগম। এরপর জানা গিয়েছে, পশু হাসপাতাল চালু করার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য বিধাননগরের ৩ নম্বর সেক্টরে জায়গা দিয়েছে কেএমডিএ।

হাসপাতালের পরিষেবা সংক্রান্ত তথ্য:

  • বিধাননগর পশু হাসপাতালে ওপিডি চলবে সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত।
  • হাসপাতালটিতে অপারেশন থিয়েটার, ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট, পোষ্যদের জন্য এক্স-রে মেশিন এবং প্যাথোলজিকাল বিভাগও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
  • পোষ্যদের জন্য তৈরি এই হাসপাতালে কুকুরদের প্রতিষেধক দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি তাদের নির্বীজকরণও করা হবে।
  • এছাড়াও এই হাসপাতালে পথ কুকুরদেরও চিকিৎসা করা হবে বিনামূল্যে।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে পুরসভা থেকে পুরনিগম হওয়ার পর, এখনও পর্যন্ত ডগ পাউন্ড বা পথকুকুরের জন্ম নিয়ন্ত্রণে সেভাবে কোনও কাজ করেনি বিধাননগর। শুধুমাত্র রয়েছে একটি সরকারি হাসপাতাল, কুকুর কামড়ালে জলাতঙ্কের টিকা দেওয়ার জন্য। এতদিন পর ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে লোকসভা ভোটের আগে বিধানগরে পশু হাসপাতাল বানানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হতে চলেছে। পুর-কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগে খুশি সল্টলেকের বাসিন্দা সংগঠন বিধাননগর ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এদিন ওই অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম সদস্য কুমারশঙ্কর সাধু জানিয়েছেন, ‘সল্টলেকের অধিকাংশ বাড়িতেই কুকুর রয়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় পর্যাপ্ত চিকিৎসা কেন্দ্র নেই। সরকারি উদ্যোগে চিকিৎসা কেন্দ্র হলে অনেকেই উপকৃত হবেন।’