Haji Nurul Islam: ‘ভোটে সন্দেশখালির ঘটনা কোনও ফ্যাক্টর হবে না’ দাবি বসিরহাটের TMC প্রার্থী নুরুলের

সন্দেশখালির ঘটনা এখনও টাটকা। ইডি আধিকারিকদের উপরে হামলা থেকে শুরু করে মহিলাদের উপর নির্যাতনের প্রসঙ্গে খবরের শিরোনাম নামে এসেছে সন্দেশখালি। আর এই নিয়ে জোরদার আন্দোলন করেছে বিরোধীরা। গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান সহ অনেকেই। তবে এত বড় ঘটনা ঘটে যাওয়া সত্ত্বেও সেখানে যাননি বসিরহাটের বিদায়ী তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান। ঠিক সেই আবহে এবার সেই বসিরহাট কেন্দ্র থেকে হাড়োয়ার বিধায়ক হাজি নুরুল ইসলামকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রার্থী হওয়ার পরেই তিনি দাবি করলেন, সন্দেশখালির ঘটনা ভোটে কোনও ফ্যাক্টর হবে না।

আরও পড়ুনঃ ‘‌হাজি নুরুল ইসলাম সমান অপরাধী’‌, শাহজাহান প্রসঙ্গ টেনে আক্রমণ অমিত মালব্যের

নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, কয়েকটি এলাকার জন্য পুরো সন্দেশখালিকে সমালোচনা করা ঠিক নয়। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, যে সমস্ত ভুল ত্রুটি হয়েছে তা সন্দেশখালির মানুষের কাছে গিয়ে স্বীকার করতে হবে। তিনি মনে করেন, ভুলের কথা স্বীকার করলে মানুষ সবকিছু ভুলে গিয়ে আবার তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেছে নেবেন।

তিনি জানান, সন্দেশখালিতে ৩টে বুথে ঝামেলা হয়েছে, জেলিয়াখালিতে ৪ টি এবং বেড়মজুরে ২ টি বুথে ঝামেলা হয়েছে। আর এর জন্য পুরো সন্দেশখালির সমালোচনা করছেন অনেকেই। কিন্তু, এভাবে পুরো সন্দেশখালি সমালোচনা করা ঠিক নয়। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করবেন সন্দেশখালি থেকেই।

নুসরত জাহানের প্রসঙ্গ টেনে নুরুল জানান, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তিনি হাড়োয়া থেকে নুসরতকে ৯৬ হাজার ভোটে লিড দিয়েছিলেন। এছাড়াও বসিরহাট উত্তর থেকে ৮৮ হাজার এবং মিনাখাঁ থেকে ৫৬ হাজার ভোট পেয়েছিলেন। নুসরতের জেতার ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তবে এখন সন্দেশখালির পরিস্থিতি উলটে গিয়েছে। এই আবহে উন্নয়নকে সামনে রেখেই প্রচার চালাবেন বলে জানিয়েছেন নুরুল ইসলাম। সে ক্ষেত্রে তিনি আশাবাদী, এবারও সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস সেখানে জয়ী হবে।

অন্যদিকে, নুরুল ইসলামকে প্রার্থী ঘোষণার পরেই নজিরবিহীন আক্রমণ করেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। নিজের এক্স হ্যান্ডেল পোস্টে নুরুল ইসলামকে সরাসরি অপরাধীর তকমা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বসিরহাটে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হাজী নুরুল ইসলাম অপরাধী। ২০১০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তিনি দেগঙ্গায় দাঙ্গা বাঁধিয়েছিলেন।