Mahua Moitra: মহুয়া মৈত্রর মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে বড় কথা জানাল লোকসভা, বড় ধাক্কা কৃষ্ণনগরের TMC প্রার্থীর!

লোকসভার সচিবালয়ের তরফে সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়ে দেওয়া হল যে তৃণমূলের নেত্রী মহুয়া মৈত্র লোকসভা থেকে তাঁকে বহিস্কার করাকে চ্য়ালেঞ্জ জানিয়ে যে আবেদন করেছেন আদালতে সেটা খতিয়ে দেখতে পারেন না আদালত। কারণ ১২২ নম্বর ধারা অনুসারে সংবিধান নির্দিষ্টভাবে দেখিয়ে দিয়েছে যে সংসদ তাদের অভ্যন্তরীন কাজকর্মে নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেবে। সেখানে আদালতের কোনও হস্তক্ষেপ চলবে না।

লোকসভার সচিবালয়ের তরফে বলা হয়েছে, সংবিধানের আওতায় একটি সার্বভৌম বডি হল সংসদ। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ এই মামলা শুনছিলেন। আগামী ৬ মে ফের এই মামলার দিন পড়েছে। খবর বার অ্যান্ড বেঞ্চ সূত্রে।

প্রসঙ্গত ২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর মহুয়া মৈত্রকে লোকসভা থেকে বহিস্কার করা হয়েছিল। এনিয়ে সেদিনই প্রস্তাব পাশ করা হয়। এথিক্স কমিটি তার আগে সুপারিশ করেছিল। তার ভিত্তিতেই মহুয়াকে বহিষ্কার করার প্রস্তাব পাশ করা হয়। এদিকে সেই বহিষ্কারকে চ্যালেঞ্জ করে মহুয়া আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। কিন্তু সেখানেও একের পর এক ধাক্কা।

এদিকে একের পর এক ক্ষেত্রে ধাক্কা খাচ্ছেন মহুয়া মৈত্র। সম্প্রতি দিল্লি হাইকোর্টেও ধাক্কা খেয়েছিলেন মহুয়া মৈত্র। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে এবং আইনজীবী জয় দেহাদ্রাই যাতে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ‘ভুয়ো ও মানহানিকর’ বিষয়বস্তু পোস্ট বা প্রচার না করেন সেটা থেকে বিরত রাখতে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্র আবেদন করেছিলেন। দিল্লি হাইকোর্টে এই আবেদন করা হয়েছিল। তবে সেই আবেদন খারিজ করে দিল দিল্লি হাইকোর্ট।

তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র নিশিকান্ত দুবে ও দেহাদ্রাই সহ বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমকে তাঁর সুনাম ক্ষুন্ন করছে বলে অভিযুক্ত করেছিল। মানহানিকর, মিথ্যা ও বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য তৈরি, প্রকাশ ও প্রচার থেকে স্থায়ীভাবে বিরত রাখার জন্য মামলা করেছিলেন তিনি।

প্রসঙ্গত ২০২৩ সালের ১৪ অক্টোবর নিশিকান্ত দুবেকে লেখা চিঠি প্রত্যাহারের জন্য দেহাদ্রাইকে নির্দেশ দেওয়ার আর্জিও জানিয়েছিলেন তিনি।

অন্তর্বর্তী আবেদনে নিশিকান্ত দুবে ও দেহাদ্রাইকে তাঁদের পক্ষ থেকে কোনও মিথ্যা মানহানিকর বিষয়বস্তু পোস্ট করা, আপলোড করা, বিতরণ করা থেকে বিরত রাখার আহ্বান জানিয়েছিলেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে পোস্ট করা মানহানিকর বিষয়বস্তু মুছে ফেলার দাবিও জানিয়েছিলেন। ফটো, ভিডিও, চিঠি এবং প্রকাশনা সহ কোনও কিছুই যাতে তার বিরুদ্ধে না করে সেটা বলা হয়েছিল। তবে সেই আবেদনও খারিজ হয়ে যায়।