Mamata Banerjee on Arun Goel: নিয়োগ নিয়ে হয়েছিল বিতর্ক, সেই পদত্যাগী নির্বাচন কমিশনার অরুণকে স্যালুট মমতার

গতকালই নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন অরুণ গোয়েল। সেই নিয়ে চরম বিতর্ক তৈরি হয়। এই আবহে আজ ব্রিগেডে তৃণমূলের জনগর্জন জনসভা থেকে অরুণ গোয়েলকে স্যালুট জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘গতকাল নির্বাচন কমিশনার পদত্যাগ করেছেন। কাগজে দেখলাম, বাংলার উপর যথেচ্ছ সন্ত্রাস ও বাংলায় ভোটের নিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন তিনি। তাঁকে এই মঞ্চ থেকে স্যালুট জানাচ্ছি। নিজের লেজ নিজেই কাটছে। যে গাছের ডালে বসে আছে, সেই গাছের ডালই কাটছে।’ (আরও পড়ুন: ‘একা লড়বে তৃণমূল’, বললেন মমতা, ৪২ আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা অভিষেকের)

আরও পড়ুন: ভোটের আগেই চমক মুখ্যমন্ত্রীর, ১৬৫০ কোটির ভার কাঁধে ডিএ নিয়ে বাউন্ডারি রাজ্যের

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের বাকি আর কয়েক সপ্তাহ। কয়েকদিনের মধ্যে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে জাতীয় নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল পদত্যাগ করেন। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিরোধী নেতারা। কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়গে, কেসি বেণুগোপাল, তৃণমূলের সাকেত গোখলে, মহুয়া মৈত্ররা এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেন। অরুণ গোয়েলের পদত্যাগের খবর সামনে আসতেই মহুয়া সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, ‘কলকাতায় নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি বৈঠক ছেড়ে আচমকাই বেড়িয়ে গিয়েছিলেন অরুণ গোয়েল। এরপরই কেন নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে পদত্যাগ করলেন তিনি? আদতে পশ্চিমবঙ্গে ভোটের দফা এবং অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে দিল্লির নির্দেশ মেনে নিতে পারেননি অরুণ গোয়েল। এই আবহে তাঁর বদলে কমিশনে কোনও এক ইয়েস ম্যান নিয়োগ করা হবে।’ এর আগে এই অরুণ গোয়েলের নিয়োগ নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছিল ২০২২ সালে। (আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে স্লিপার বন্দে ভারতের ‘বডি’, ঘুরে দেখলেন রেলমন্ত্রী, দেখুন আপনিও…)

আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটের আগে পদত্যাগ নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে, কে এই অরুণ গোয়েল?

এদিকে অরুণের পদত্যাগের জেরে বর্তমানে শুধুমাত্র মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রাজীব কুমার আছেন কমিশনের ফুল বেঞ্চে। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে অপর নির্বাচন কমিশনার অনুপ পাণ্ডে অবসর নিয়েছিলেন। এই আবহে কমিশনার পদে নিযুক্ত দুই আধিকারিক কেন্দ্রীয় সরকারের ‘আস্থাভাজন’ হবেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিরোধীরা। এই আবহে খাড়গে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘ইলেশন কমিশন নাকি ইলেকশন অমিশন (বাদ দেওয়া)?’ ভারতের গণতন্ত্র বিপন্ন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন কংগ্রেস সভাপতি। এদিকে বেণুগোপাল বলেন, ‘সরকার স্বচ্ছ নির্বাচন চায় না।’ এদিকে অরুণের পদত্যাগে এখন দু’টি নির্বাচন কমিশনারের শূন্যপদে নিয়োগ করবে কেন্দ্রীয় সরকার। এর জন্য প্রথমে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের সার্চ কমিটি সম্ভাব্যদের তালিকা তৈরি করবে। এরপর প্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতার তিন সদস্যের কমিটি সেই তালিকা থেকে বেছে নেবেন নির্বাচন কমিশনারকে। এদিকে সার্চ কমিটি ৫ জনের নাম প্রস্তাব করে পারে। তবে সেই তালিকার বাইরে থেকেও কমিশনার নিয়োগের অধিকার রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন কমিটির।