TikTok may be banned in US:আমেরিকায় ব্যান হতে পারে টিকটক, আপত্তি নেই বাইডেনের

দড়ি টানাটানি চলছে টিকটক ও ফেসবুককে নিয়ে। ডোনাল্ড ট্রাম্প ফেসবুকের ব্যবসা বাড়াতে দিতে নারাজ। অন্যদিকে বাইডেন টিকটককে আমেরিকার জন্য হুমকির চোখে দেখছেন। আমেরিকায় জমবে খেলা, নভেম্বরের নির্বাচনের আগে।

প্রচার পরে হবে, আগে দেশের সুরক্ষা। তাই এবার বড়সড় পদক্ষেপ নিতে চলেছেন বাইডেন। ২০২৪ সালের পুনঃনির্বাচনের জন্য জনপ্রিয় টিকটকেও প্রচার চালাচ্ছে টিম বাইডেন। এতেও নেই ভ্রূক্ষেপ। সরাসরি বলে দিয়েছেন, টিকটিক নিষিদ্ধ করার বিলটি পাস করা হলে, তিনি নিশ্চিতভাবে স্বাক্ষর করতে রাজি আছেন। কিন্তু কেন?

হুমকির মুখে  আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা। আশংকা করছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। চিনের একের পর পণ্য আমেরিকা থেকে সরাতে চাইছেন বাইডেন। এবার পালা, টিকটকের। গত শুক্রবারই, বাইডেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে আইনটি পাস হলে তিনি স্বাক্ষর করার পরিকল্পনা করছেন। জো বাইডেনের কথায়, তিনি কংগ্রেসের মাধ্যমে পাস হলে বিদেশী প্রতিপক্ষ নিয়ন্ত্রিত অ্যাপ্লিকেশন আইন থেকে আমেরিকানদের রক্ষা করবেন।

  • বিক্রি করতে হবে, নাহলেই আমেরিকায় নিষিদ্ধ করা হবে টিকটক

টিকটকের মূল সংস্থা রয়েছে চিনে। নাম বাইটড্যান্স। আর আমেরিকানদের জাতীয় নিরাপত্তায় সম্ভাব্য ঝুঁকির নিয়ে আসতে পারে বলে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে সরকার। সেই কারণেই প্রস্তাবিত আইন বলেছে, বিদেশী প্রতিপক্ষ নিয়ন্ত্রিত অ্যাপ্লিকেশন আইন থেকে আমেরিকানদের সুরক্ষার জন্য বাইটড্যান্সকে ছয় মাসের মধ্যে টিকটক থেকে মালিকানা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর যদি এটা করতে তারা ব্যর্থ হয়, তাহলে টিকটক অ্যাপ্লিকেশনটিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হবে। জানা গিয়েছে, বিলটি হাউস এনার্জি অ্যান্ড কমার্স কমিটি থেকে সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন পেয়েছে। চলতি সপ্তাহে বিলটি নিয়ে ভোট হবে হাউসে। জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এবং আইন প্রণেতারা দীর্ঘদিন ধরে অ্যাপটির সঙ্গে যুক্ত সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করে আসছেন। এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ কংগ্রেসকে জানিয়ে দিয়েছে যে এই ডিভস্টিচার বিল সম্পূর্ণ বাইটড্যান্সকে টিকটক বিক্রি করতে বাধ্য করবে।

  • কী বলছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

এদিকে, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প, নভেম্বরের নির্বাচনে হোয়াইট হাউসের ফিরে আসতে চাইছেন। পুরো দমে প্রচার নেমে পড়েছেন। টিকটক নিষিদ্ধ করার খবরে আপত্তিও প্রকাশ করেছেন ইতিমধ্যেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে, ট্রাম্প বলেছিলেন যে টিকটোককে নিষিদ্ধ করা হলে, প্রতিদ্বন্দ্বী প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক তাদের ব্যবসা দ্বিগুণ করবে, আর তিনি কখনওই চান না যে ফেসবুক আরও ভালো করুক। যদিও ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে টিকটকে যোগ দেয়নি।

এদিকে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস অনুসারে, TikTok প্রস্তাবিত আইনের বিরুদ্ধে যুক্তি দিয়ে বসেছে। তারা জানিয়েছে, এটি করলে ১৭০ মিলিয়ন আমেরিকান ব্যবহারকারীদের জন্য স্বাধীন মত প্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করা হবে। সংস্থাটি ব্যবহারকারীদের আরও অনুরোধ করেছে, যাতে ওই বিলের বিরোধিতায় আওয়াজ তোলার জন্য তারাও প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে।