German refugee arrested: পাসপোর্ট, ভিসা ছাড়াই থাকছিলেন কলকাতায়, গ্রেফতার জার্মান শরণার্থী

পার্ক স্ট্রিটের একটি নামি রেস্তোরাঁ থেকে এক জার্মান শরণার্থীকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ। ধৃতের নাম জালাল জাসিম খাসিম। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি বাহারিনের জার্মান শরণার্থী। সাধারণত এই ধরনের শরণার্থীদের মধ্যে অপরাধ করার প্রবণতা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি গা ঢাকা দিয়ে কলকাতায় ছিলেন কিনা তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে জার্মান শরণার্থী কার্ড পাওয়া গিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ অহিন্দু হয়েও পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশ, নিয়ম ভেঙে গ্রেফতার ৯ বাংলাদেশি

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের জুলাই মাসে কলকাতায় এসেছিলেন ওই ব্যক্তি। তিনি ভারতে আসার জন্য পর্যটন ভিসা সংগ্রহ করেছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই অনেকদিন আগেই তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। তারপরও তিনি কলকাতায় থাকছিলেন। তবে ধৃত ব্যক্তির আইনজীবী জানান, তার স্ত্রী এবং পরিবারের সদস্যরা কলকাতায় থাকেন। পরিবারের সঙ্গে তিনি থাকছিলেন।জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির স্ত্রী এবং মেয়ে ট্যাংরা এলাকায় থাকেন। 

পুলিশ জানতে পেরেছে, কলকাতায় আসার পর তিনি আর দেশে ফিরে যাননি। ফলে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও কীভাবে তিনি কলকাতাতে থাকছিলেন তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি আসলে বাহারিনের বাসিন্দা। পরে জার্মানিতে চলে যান। সেখান থেকে শরণার্থী কার্ড পান। সে ক্ষেত্রে ব্যক্তির স্ত্রী আগে থেকেই কলকাতায় থাকতেন নাকি ওই ব্যক্তি কলকাতায় এসে বিয়ে করেছিলেন? সে বিষয়টি জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। তাছাড়া ব্যক্তির স্ত্রীও জার্মান শরণার্থী কিনা তাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। যদিও তাই হয় সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির স্ত্রী অবৈধভাবে ভারতে আছেন কি না তা খতিয়ে দেখবে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রের খবর, পার্ক স্ট্রিটের একটি নামি রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। এরপর বিল মেটানো নিয়ে রেস্তোরাঁ কর্মীদের সঙ্গে বচসা হয়। পরে রেস্তোরাঁর তরফে থানায় খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এরপর ওই ব্যক্তির কথাবার্তায় সন্দেহ হয় পুলিশের। তখন তাকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতকে আদালতে তোলা হলে তার ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। ওই ব্যক্তি কোনও অপরাধ করে কলকাতায় গা ঢাকা দিয়েছিলেন কিনা অথবা কলকাতায় এতদিন ধরে কী কাজ করছিলেন? পাশাপাশি বাহারিনের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ রাখতেন কিনা তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।