Howrah Mangalahat: মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ী ও হাওড়া ময়দানের হকারদের জন্য তৈরি হবে স্থায়ী স্টল

গত বছর একুশে জুলাই শহীদ দিবসের দিন পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল হাওড়ার মঙ্গলা হাটের আড়াই হাজারটিরও বেশি দোকান। তারপর অবশ্য সেখানে অস্থায়ী দোকান তৈরি করে পুনরায় ব্যবসা শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। এই অবস্থায় মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীদের জন্য স্থায়ী স্টলের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা নিল প্রশাসন। সোমবার হাওড়া পুরসভায় জরুরী বৈঠক করেন জেলা প্রশাসন, পুলিশ এবং পুরসভার আধিকারিকরা। এছাড়াও ছিলেন মন্ত্রী অরূপ রায়। সেখানে মঙ্গলহাটের ব্যবসায়ীদের জন্য আলাদা ভবন তৈরি করার পরিকল্পনা হয়েছে। এর পাশাপাশি যেহেতু হাওড়া মেট্রো চালু হতে চলেছে তাই হাওড়া ময়দানকে হকারমুক্ত করতে সেখানকার হকারদের পুনর্বাসন দেওয়ার পরিকল্পনা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ ১৭ দিন পর চালু হল মঙ্গলা হাট, নতুন উদ্যমে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই ব্যবসায়ীদের

প্রসঙ্গত, পোড়া হাটে অস্থায়ী স্টল তৈরি করে ব্যবসা শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। সে ক্ষেত্রে ওই জায়গায় একটি বহুতল তৈরি করে পুনর্বাসন দেওয়ার বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করছে প্রশাসন। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হাওড়া পুরসভার চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী, জেলাশাসক পি দীপপ প্রিয়া, নগরপাল প্রবীণকুমার ত্রিপাঠী-সহ জেলা প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকেরা।

চেয়ারপার্সন জানান, হাওড়া ময়দান চত্বরের হকারদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে। পোড়া মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীদের জন্যও স্টল তৈরি করা হবে।  এর জন্য একটি ভবন তৈরি করা হবে। এছাড়া, হাটের বাইরে ফুটপাতে অনেক হকার বসেন তাদের কয়েকজনকে পুনর্বাসন দেওয়া হতে পারে। সবমিলিয়ে দীর্ঘদিনের টানাপোড়েনের পর এবার ব্যবসায়ী ও হকারদের সমস্যা পাকাপাকিভাবে মিটতে চলেছে।

এবিষয়ে এদিন মঙ্গলাহাটে একটি সার্ভে করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে নতুন ভবন তৈরি হলে কতগুলি স্টল করতে হবে? কতজনকে পুনর্বাসন দিতে হবে? কাদের কাদের পূর্ণবাসন দেওয়া হবে? কতটা জায়গা জুড়ে বহুতল ভবন তৈরি করা হবে? সে সমস্ত বিষয়ে একটি সার্ভে করা হবে। পুলিশ এবং জেলা প্রশাসনকে এই সার্ভে করতে বলা হয়েছে। সার্ভে শেষ করে আগামী ১০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে জেলা প্রশাসন। প্রয়োজনে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকও হতে পারে।