Murder: ভবানীপুরের ব্যবসায়ীকে খুন করে জলের ট্যাঙ্কে দেহ লুকিয়ে রাখল বিজনেস পার্টনার!

প্রথমে অপহরণ করে খুন, তারপরে জলের ট্যাঙ্কের নিচে লুকিয়ে রাখা হল দেহ। শুধু তাই নয় দেহ যাতে কেউ খুঁজে না পায়, তারজন্য রাতারাতি ইট দিয়ে গেঁথে দেওয়া হল ট্যাঙ্ক । যদিও শেষ রক্ষা হল না। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে নিমতায়। ওই ব্যবসায়ীর নাম ভাবিয়া লাখানি (৪৪)। মৃতদেহ উদ্ধারের পাশাপাশি ঘটনায় তাঁর ব্যবসায়িক অংশীদারকে আটক করেছে বালিগঞ্জ থানার পুলিশ।

আরও পড়ুনঃ অনুষ্ঠান বাড়িতে ডিজে বন্ধ করে নাচে বাধা দেওয়ায় দাদাকে কুপিয়ে খুন করল ভাই

জানা গিয়েছে, ওই ব্যবসায়ী ভবানীপুরের প্রিয়নাথ মল্লিক লেনের বাসিন্দা। পারিবারিক সূত্রের খবর, দুদিন ধরে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। কোনও জায়গাতেই তাঁর খোঁজ মিলছিল না। ফোনেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করে পরিবার। কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি। দুশ্চিন্তায় পড়ে বালিগঞ্জ থানার দ্বারস্থ হয় তার পরিবার। কিন্তু, ব্যবসায়ী যে ওই এলাকাতেই ছিলেন না তা জানা ছিল না পরিবারের সদস্যদের। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, তাঁকে দু’দিন আগেই নিমতায় ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। প্রথমে তাঁর মাথায় উইকেট দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়।  তারপর দেহ ঢুকিয়ে দেওয়া হয় জলের ট্যাঙ্কে। কেউ যাতে বুঝতে না পারে তারজন্য দেহ জলের ট্যাঙ্কে ঢোকানোর পরে মাঝরাতেই তা ইঁট দিয়ে গেঁথে ফেলার চেষ্টা করে অভিযুক্ত। তবে প্রতিবেশীদের তৎপরতায় সবকিছু প্রকাশ্যে আসে। 

পুলিশ জানিয়েছে, বালিগঞ্জ থানার পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায়। শেষে  নিমতায় তাঁর ব্যবসায়ীক অংশীদারের বাড়ি থেকে উদ্ধার দেহ। এমন ঘটনার খবর জানতে পেরেই এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

মৃতের পরিবার দাবি করেছে, সোমবার ব্যবসায়ী অফিসে গিয়েছিলেন। অফিস থেকে বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু, তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। তবে পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, শেষবার ব্যবসায়ীর সঙ্গে তাদের শেষ কথা হয়েছিল দুপুর ৩টে নাগাদ। তারপর অবশ্য আর যোগাযোগ করা যায়নি। বন্ধ হয়ে যায় মোবাইল ফোন। 

এদিকে, তদন্তে নেমে পুলিশ টাওয়ার লোকেশন ট্রাক করে জানতে শেষবার ফোনটি ছিল শোভাবাজার এলাকায়। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরেই খুন। বালিগঞ্জ থানার পাশাপাশি তদন্তে নেমেছে লালবাজারের হোমিসাইড ও গুন্ডাদমন শাখা।