Agni 5 Missile: ক্লাস টেনে হারিয়েছিলেন বাবাকে, আজ তিনি মিসাইল রানি, তৈরি করেছেন অগ্নি-৫, গর্বের মহিলা বিজ্ঞানী

সোমবার ডঃ এপিজে আব্দুল কালাম দ্বীপ থেকে সফল পরীক্ষা করা হয়েছিল অগ্নি ৫ মিসাইলের। একেবারে অত্য়াধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে এই মিসাইল তৈরি করা হয়েছে। আর সেই মিসাইলের নেপথ্য়ে অন্য়তম যে নামটি রয়েছে তিনি আর কেউ নন মিসাইল বিশেষজ্ঞ আর শিনা রানি।

৫৭ বছর বয়সি মিসাইল বিশেষজ্ঞ আর শিনা রানি। ডিআরডিওর অ্য়াডভান্সড সিস্টেমস ল্যাবরেটরির প্রোগ্রাম ডিরেক্টর হলেন তিনি। হায়দরাবাদের এই এএসএল। ৫০০০ কিমি পাল্লায় যেতে পারে এই মিসাইল। এই মিসাইলের পরীক্ষার পর থেকেই ইতিমধ্য়েই চিনের ঘুম উড়ে গিয়েছে। এই মিসাইলের পাল্লা আর ক্ষমতার কথা চিন্তা করলেই টেনশনে পড়ে যাচ্ছে তথাকথিত শত্রু দেশ। আর সেই মিসাইলের নেপথ্য়ে যাঁর অবদান রয়েছে সেটা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।

এবার সেই নেপথ্যে থাকা মানুষটির সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। তিনি গত আট বছর ধরে ইসরোর বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারে চাকরি করতেন। ১৯৯৯ সালে তিনি ডিআরডিওতে যোগ দেন। ১৯৯৮ সালে পোখরানে যখন পরমাণু পরীক্ষা হয়েছিল তারপরই তিনি ডিআরডিওতে যোগ দেন। তারপর থেকেই তিনি দেশের অগ্নি মিসাইল কর্মসূচিতে কাজ করে আসছেন। এর আগে একাধিক মিসাইল তৈরির কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। তবে এবার অগ্নি-৫ মিসাইল তৈরির বিষয়টি তাঁর কেরিয়ারে একেবারে উল্লেখযোগ্য দিক। তাঁর টিমে একাধিক নারী বিজ্ঞানী ছিলেন। আর সেই টিমের নেতৃত্ব দেন তিনি। ধাপে ধাপে ভারতকে তাঁরা দেশকে শক্তির একেবারে চূড়ান্ত জায়গায় নিয়ে গিয়েছে। আর ভারত একেবারে সাফল্য়ের চরম শিখরে পৌঁছে যায়। যার জেরে দেশ আজ এত বড় সাফল্য পেল।

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, তিনি একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, আমি এই অগ্নি মিসাইলের আওতায় থাকতে পেরে নিজেকে অত্যন্ত গর্বিত বলে মনে করছি। এই মিসাইল আমাদের দেশের সীমান্তকে আরও সুরক্ষিত রাখবে।

তবে ছোটবেলা থেকেই বেশ কষ্ট করে বড় হয়েছেন তিনি। দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় তাঁর বাবা মারা যান। থিরুবনন্তপুরমে জন্মেছিলেন তিনি। এরপর মা তাঁকে বড় করে তোলেন। কলেজ অফ ত্রিবান্দাম থেকে তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, আমার আর আমার বোনের জীবনে মায়ের অবদান ভোলার নয়।

মূলত অগ্নি মিসাইল ছাড়ার আগে সেটা সবদিক থেকে ঠিকঠাক রয়েছে কি না সেটা পরীক্ষা করার দায়িত্ব পড়েছিল ওই মহিলা বিজ্ঞানীর উপর। আর তাতে সফল হলেন তিনি। সফল হল দেশ।