Ration distribution scam: জ্যোতিপ্রিয়র চিঠি আদালতে কেন পেশ করা হচ্ছে না? প্রশ্ন আইনজীবীদের

রেশন বন্টন দুর্নীতিতে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাছ থেকে পাওয়া একটি চিঠির সূত্রে গ্রেফতার হয়েছেন বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য।‌ এছাড়াও এই চিঠিতে আরও অনেকের নাম রয়েছে বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু, সেই চিঠিটি আদালতে পেশ করছে না ইডি। শুধু তাই নয় এই সংক্রান্ত নথিও দেওয়া হচ্ছে না। আদালতের কাছে এমনই অভিযোগ জানালেন অভিযুক্তদের আইনজীবীরা। 

আরও পড়ুনঃ গ্রেফতারের সাড়ে ৩ মাস পর জোড়া দফতর হারালেন বালু, কার হাতে গেল দায়িত্ব

মঙ্গলবার বিচারভবনের বিশেষ সিবিআই আদালতে মামলার শুনানি ছিল। তাতে ধৃত শঙ্কর আঢ্য এবং বিশ্বজিৎ দাসকে বিচার ভবনের এই সিবিআই আদালতে পেশ করা হয়। তাদের জামিনের আবেদন জানান আইনজীবীরা। তবে সেই আর্জি খারিজ করে দেন বিচারক। ইডি দাবি করেছে, এই চিঠিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নাম রয়েছে। তাছাড়া গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও রয়েছে এই চিঠিতে। 

এদিন শঙ্করের আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, ইডি বলছে যে এই চিঠির সূত্রে নাকি তাঁর মক্কেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অথচ সেই চিঠি কোনওভাবেই আদালতে পেশ করা হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে ইডির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবী। যদিও কেন সেই চিঠি এখনও পেশ করা হচ্ছে না সে বিষয়ে যুক্তি দেখান ইডির আইনজীবীরা। 

তাদের বক্তব্য, ওই চিঠিতে একাধিক নাম রয়েছে। কীভাবে রেশন দুর্নীতির টাকা কোথায় পাচার ও নেওয়া হয়েছে সেই বিষয়ে তথ্য রয়েছে। ফলে এই মুহূর্তে চিঠিটি প্রকাশ করলে সেক্ষেত্রে তদন্ত প্রক্রিয়া ব্যাপকভাবে ব্যহত হতে পারে। রেশন দুর্নীতিতে এই চিঠি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার বলে দাবি করেছে ইডি।

উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বর মাসে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার সময় মেয়ে প্রিয়দর্শনী মল্লিককে একটি চিঠি হাতে ধরিয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। যদিও সেই চিঠি নিয়ে যেতে পারেননি প্রিয়দর্শনী। কর্তব্যরত জওয়ানরা সেই চিঠি বাজেয়াপ্ত করে। এরপর জওয়ানরা সেই চিঠি ইডির আধিকারিকদের হাতে তুলে দেয়। ইডির দাবি, এই চিঠিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে। 

এদিন শঙ্কর অসুস্থ থাকায় তাকে জেল থেকেই ভার্চুয়ালি পেশ করা হয়। দুজনের আইনজীবী এদিন আদালতে জামিনের আবেদন জানান। তবে জামিনের বিরোধিতা করে ইডি। সে ক্ষেত্রেই ইডির তরফে দাবি করা হয়, বিশ্বজিৎ দাস মুদ্রা বিনিময় সংস্থা এবং হাওয়ালা চক্রের মাধ্যমে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। সে ক্ষেত্রে তদন্ত করে নতুন নতুন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তাই তাকে যেন জামিন না দেওয়া হয় সে বিষয়ে ইডির তরফে পালটা আবেদন জানানো হয়।