Infant death: বিশ্বজুড়ে অনেকটা কমেছে শিশুমৃত্যু কিন্তু….সতর্ক করে কী বলল UNICEF

শিশু মৃত্যু কমেছে। ২০২২ সালের রেকর্ড অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী পাঁচ বছর বয়সের আগে মারা যাওয়া শিশুদের সংখ্যা অনেক অংশেই কমে গিয়েছে। মঙ্গলবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে রাষ্ট্রসংঘ বলেছে, প্রথমবারের মতো পাঁচ মিলিয়নেরও কম শিশু মারা গিয়েছে। অনুমান অনুসারে, ২০২২ সালে পাঁচ বছরের জন্মদিনের আগে ৪.৯ মিলিয়ন শিশু মারা গিয়েছিল, ২০০০ সাল থেকে যা ৫১ শতাংশ কম এবং ১৯৯০ সাল থেকে ৬২ শতাংশ কম। তবে, পরবর্তীতে যে এই মৃত্যু সংখ্যা আবারও বাড়বে না, সে বিষয়ে কিছু নিশ্চিত করা যায়নি।

এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রাষ্ট্রসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফের স্বাস্থ্য পরিচালক হেলগা ফগস্টাড এএফপিকে জানিয়েছেন, ‘এটি একটি অত্যন্ত ভালো খবর। সবচেয়ে বড় বিষয়টি হল যে আমরা পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুর একটি ঐতিহাসিক স্তরে এসে পৌঁছেছি, যার সংখ্যা এই প্রথমবারের মতো পাঁচ মিলিয়নের নীচে পৌঁছেছে, অর্থাৎ প্রতি বছর ৪.৯ মিলিয়ন  শিশু মৃত্যু ঘটছে।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এবং বিশ্বব্যাংকের সমন্বয়ে ইউনিসেফের তৈরি প্রতিবেদন অনুসারে, মালাউই, রুয়ান্ডা এবং মঙ্গোলিয়ার মতো উন্নয়নশীল দেশগুলিতে এই অগ্রগতি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, এখানে শিশু মৃত্যুর হার ৭৫ শতাংশেরও বেশি কমেছে।

  • আবারও বাড়তে পারে শিশু মৃত্যু

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বলেছেন, ‘এই সংখ্যার পিছনে রয়েছে দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীরা, যাঁরা মায়েদের নিরাপদে নবজাতকদের জন্ম দিতে সাহায্য করেন। শিশুদের মারাত্মক রোগের বিরুদ্ধে টিকা দিয়ে থাকেন এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিবারগুলিকে শিশু সচেতনতা পাঠ পড়িয়ে আসেন। যদিও, এই মৃত্যুর হার হ্রাসের বিষয়টি অনিশ্চিত বলেই রিপোর্টে সতর্ক করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, নবজাতক এবং শিশুর স্বাস্থ্য এবং তাদের বেঁচে থাকার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নিলে আবারও বাড়তে পারে মৃত্যু।

২০০০ সাল থেকে পাঁচ বছরের কম বয়সী মোট ১৬২ মিলিয়ন শিশু মারা গিয়েছে, যাদের মধ্যে ৭২ মিলিয়ন জন্মের প্রথম মাসেই প্রাণ হারিয়েছে, কারণ জন্ম সংক্রান্ত জটিলতাগুলি শিশু মৃত্যুর প্রধান কারণগুলির মধ্যে একটি। এক মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সের মধ্যে, শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ, ম্যালেরিয়া এবং ডায়রিয়া প্রধান ঘাতক হয়ে ওঠে, এই সমস্ত অসুস্থতা কিন্তু প্রতিরোধযোগ্য বলেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। জাতিসংঘ ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতি ১,০০০ শিশুর মধ্যে অন্তত ৭৫ জন পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুকে বাঁচানোর লক্ষ্যে কাজ করছে।