পাহাড়ে প্রার্থী এখনও দেয়নি কংগ্রেস–বিজেপি, বিমল গুরুং–অজয় এডওয়ার্ড কি তুরুপের তাস?‌

তৃণমূল কংগ্রেস দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে আমলা গোপাল লামাকে। এই আমলা কর্মসূত্রে গোটা লোকসভা কেন্দ্রকে হাতের তালুর মতো চেনেন। মানুষের সঙ্গে তাঁর নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। আর তাতেই চাপে পড়ে গিয়েছে বিজেপি–কংগ্রেস। তাই তারা এখনও এই লোকসভা আসনে কোনও প্রার্থী ঘোষণা করতে পারেনি। বিজেপি এবং কংগ্রেস নিজেদের দলের অন্দরে আলোচনা করছে কাকে প্রার্থী করা যায়। এই নিয়ে দুই দলই দফায় দফায় বৈঠক করে চলেছে। আর এই বৈঠকগুলি থেকে দুটি নাম উঠে আসছে— বিমল গুরুং এবং অজয় এডওয়ার্ড। কে কোন দলের প্রার্থী হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

এদিকে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা এবং হামরো পার্টির দুই সভাপতি ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে কাকে সমর্থন করবেন সেটা জানাননি। আবার নিজেরাই প্রার্থী দেবেন কিনা তাও স্পষ্ট করেননি। তবে ভিতরে ভিতরে কাজ চলছে। বিমল গুরুংয়ের এখন তেমন ক্যারিশ্মা নেই পাহাড়ে। অজয় এডওয়ার্ড পাহাড়ে ভাল ছাপ ফেলেছে। তাই তাঁকে কেউ টানে কিনা সেটাই দেখার। পাহাড়ের রাজনীতিতে বিরাট কোনও সাংগঠনিক অবস্থা নেই দু’‌দলের। ভোটের মার্জিন বাড়াতে নানা সমীকরণ তৈরি করা হতে পারে। কংগ্রেস ও বিজেপি যোগাযোগ করে চলেছে দু’দিকেই।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌দলবদলের প্রশ্নই নেই’‌, অস্তিত্বকর পরিস্থিতিতে পড়েও অনড় মনোভাব দেখালেন কৃষ্ণ

অন্যদিকে সদ্য হামরো পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সভা করেছে। সেই সভায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী গোপাল লামার বিরোধিতা করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই বিষয়ে অজয় এডওয়ার্ড বলেন, ‘আমরা লোকসভা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিইনি। তবে দ্রুত সব ঠিক হবে।’ আর গুরুংয়ের দল চাইছে বিমল গুরুংকে প্রার্থী করা হোক লোকসভা নির্বাচনে। যদিও বিমল গুরুংয়ের বক্তব্য, ‘প্রার্থী হওয়া বা কাউকে সমর্থন করার বিষয়টি এখনও ঠিক হয়নি। যা হবে সেটা প্রকাশ্যে ঘোষণা করা হবে।’ এখন গুরুংয়ের দলের সংগঠন তলানিতে পৌঁছেছে। তাই বড় সিদ্ধান্ত নিতে তারা ভয় পাচ্ছে। রাজু বিস্তার সঙ্গে বিমল গুরুংয়ের সম্পর্ক অবশ্য ভাল।

এছাড়া রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’য় পা মিলিয়ে ছিলেন অজয় এডওয়ার্ড। তিনি কংগ্রেস নেতাদের কাছে আর্জি জানান, পাহাড় সমস্যা যেন কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তাহারে থাকে। তাই কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা দেখার জন্য অপেক্ষা করছেন অজয়। কংগ্রেসকে সমর্থন করতে পারেন তিনি। দার্জিলিং সদর, কালিম্পং–সহ পাহাড়ে নিজেদের সংগঠন তৈরি করেছে হামরো পার্টি। এখন তারা কোন পথে হাঁটবে সেটাও দেখার বিষয়। যদিও দার্জিলিং প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিনয় তামাং বলেন, ‘কারা কার পাশে আছেন সেটা কদিন পরই পরিষ্কার হয়ে যাবে।’