সন্দেশখালির মহিলারা দেখা করলেন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে, জানালেন অত্যাচারের কথা

সন্দেশখালি ইস্যু জিইয়ে রাখা হয়েছে। তাই আজ, শুক্রবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করলেন ১১ জন সন্দেশখালির নির্যাতিতা। কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রীর মঞ্চে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আবার সন্দেশখালির মহিলাদের হাঁটতে দেখা গিয়েছিল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিলে। এমনকী ব্রিগেডের জনগর্জন সভায় এসেছিলেন সন্দেশখালির মহিলারা। তবে এবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করলেন পাঁচজন মহিলা এবং ছ’জন পুরুষ। এরা প্রত্যেকেই নির্যাতনের শিকার বলে অভিযোগ। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিজেদের নির্যাতনের কথা জানিয়েছেন ওই ১১ জন। আর পদক্ষেপ করার আর্জি রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছেন।

এখানে রাজনীতি দেখতে পাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে তাঁরা কোনও মন্তব্য করেননি। রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে সন্দেশখালির নির্যাতিতরা দেখা করলেন। তাঁদের এখানে নিয়ে এসেছিলেন সেন্টার ফর এসসি এসটি সাপোর্ট অ্যান্ড রিসার্চের ডিরেক্টর ড. পার্থ বিশ্বাস। এই দেখা–সাক্ষাতের পর পার্থবাবু জানান, সন্দেশখালির বিষয়টি যাতে নিজে কানে শোনেন তাই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সরাসরি নির্যাতিতদের মুখ থেকেই রাষ্ট্রপতি শুনলেন। সন্দেশখালির মহিলা এবং নির্যাতিত পুরুষরা ঘটনা জানাতেই আজ রাষ্ট্রপতি ভবনে এসেছিলেন। রাষ্ট্রপতি তাঁদের কথা শুনে সহানুভূতি জানিয়েছেন। তবে কোনও পদক্ষেপ করার আশ্বাস রাষ্ট্রপতি দেননি।

আরও পড়ুন:‌ সিএএ চাপে ফেলে দিয়েছে মতুয়াদের, দ্বিধা কাটিয়ে আইন বাতিলের দাবি তোলা হচ্ছে

এদিকে বিজেপি নেতারা সন্দেশখালি নিয়ে নানা রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। রাজ্য সরকার এই নিয়ে রিপোর্ট দিয়েছেন। রাজ্যপাল নয়াদিল্লিতে গিয়ে কী রিপোর্ট দিয়েছেন তা জানা যায়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে পালে হাওয়া টানতে চাইছে বঙ্গ–বিজেপি। আগেও সন্দেশখালি নিয়ে রিপোর্ট গিয়েছে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মূর কাছে। জাতীয় তফসিলি জাতি ও জনজাতির কমিশন এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে মহিলা কমিশনও চিঠি দিয়েছিল রাষ্ট্রপতিকে। যদিও শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশ। তবে এখন শাহজাহান সিবিআই হেফাজতে। লোকসভা নির্বাচনে এই ঘটনাকে ইস্যু করতে চাইছে বিজেপি।

তবে আগামী ২০ মার্চ বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে জনসভা করবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই বিজেপির চক্রান্ত ফাঁস করবেন তিনি বলে সূত্রের খবর। এখানের প্রার্থী করা হয়েছে হাজি নুরুল ইসলামকে। কিন্তু বিজেপি এবং সিপিএম এখনও প্রার্থী দিতে পারেনি। সন্দেশখালিতে শাহজাহান ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ তুলেছিলেন এলাকার মহিলারা। শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ তোলা হয়। উত্তপ্ত পরিবেশ তৈরি হয়। এই ঘটনার খবর পেয়ে সন্দেশখালি আসে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। জাতীয় মহিলা কমিশন, জাতীয় এসসি এসটি কমিশনও এসেছিল। তাঁরা সন্দেশখালিতে ঘুরে রিপোর্ট দেন রাষ্ট্রপতিকে।