সুকান্তের আর্জি মান্যতা পেল না সুপ্রিম কোর্টে, সন্দেশখালি নিয়ে খেলেন জোর ধাক্কা‌

সন্দেশখালির ইস্যুকে লোকসভা নির্বাচনের আগে কাজে লাগাতে চেয়েছিল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এই ইস্যুকে নিয়ে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু সেখানে গিয়ে জোর ধাক্কা খান সুকান্ত। সুপ্রিম কোর্ট রীতিমতো কান মুলে কলকাতা হাইকোর্টে যেতে বলে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সেটাই ভাল জায়গা বুঝিয়ে দেওয়া হয় সুকান্ত মজুমদারকে। সুতরাং লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে যে পরিকল্পনা ছিল তা ভেস্তে গেল বিজেপির বলে মনে করা হচ্ছে।

এদিকে সন্দেশখালি নিয়ে আগেও চোট পাওয়ার ঘটনা সামনে নিয়ে এসে তপ্ত বাতাবরণ তৈরি করতে চান সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস ভিডিয়ো প্রকাশ করে দিতেই তা নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য আর করা যায়নি। তারপর বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের অডিয়ো ফাঁস করে দেয় তৃণমূল কংগ্রেস। তাতে বিজেপির অস্বস্তি বাড়ে। এবার এক নাবালিকা নির্যাতিতার নাম প্রকাশ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের আর্জি জানান সুকান্ত মজুমদার। এই নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতে জনস্বার্থ মামলাও করেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ। কিন্তু সেই আর্জি সরাসরি ফিরিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট।

আরও পড়ুন:‌ খাস কলকাতার তিন জায়গায় থেকে উদ্ধার ৫৪ লক্ষ টাকা, নির্বাচনের প্রাক্কালে গ্রেফতার ৩

অন্যদিকে আজ সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের ১১ জনের প্রতিনিধিদলকে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করানো হয়। সুতরাং সন্দেশখালি নিয়ে যে বিজেপি কেলতে চাইছে সেটা পরিষ্কার হয়ে যায়। এবার বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের আর্জি আজ শুক্রবার ওঠে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী ও বিচারপতি পঙ্কজ মিত্তালের বেঞ্চে। এই বিষয়টি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা কেমন করে গ্রহণ করা যাবে সেটা নিয়ে প্রশ্ন তোলে সর্বোচ্চ আদালত। সুকান্ত মজুমদারের পক্ষের আইনজীবী মাধবী দিভান ও অর্চনা পাঠক দাভে উত্তর দিতে পারেননি। তখন বিচারপতি ত্রিবেদী ও বিচারপতি মিত্তালের বেঞ্চ সুকান্ত মজুমদারের আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, ‘নির্যাতিতার পরিচয় সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ হয়ে গিয়েছে এটাই আপনাদের অভিযোগ। এই মামলা শোনার জন্য হাইকোর্ট সবচেয়ে ভাল জায়গা।’

এই কথা শোনার পর ভরা এজলাসে সুকান্ত মজুমদারের আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টের ২০১৯ সালের একটি রায় তুলে ধরেন। যেখানে বলা হয়েছিল, নির্যাতিতার পরিচয় জানা যেতে পারে এমন কোনও নাম বা তথ্য প্রকাশ করা যাবে না। আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টে জানান এটার সঙ্গে বৃহত্তর আঙ্গিক জড়িয়ে রয়েছে। তাই জনস্বার্থ মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হোক। যদিও সেই যুক্তি মানতে চায়নি সুপ্রিম কোর্ট। আর হাইকোর্টের রাস্তা দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে।