Housewife murdered: মেলেনি ফ্ল্যাট কেনার টাকা, গায়ে গরম তেল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে মারা হল গৃহবধূকে

ফ্ল্যাট কেনার জন্য ৫০ লক্ষ টাকা চেয়েছিল গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। কিন্তু, সেই টাকা দিতে পারেননি গৃহবধূর বাবা মা। সেই ক্ষোভে রান্নাঘরে গৃহবধুর গায়ে গরম তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দিল শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এরফলে গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের থানে জেলার। ওই গৃহবধূ উচ্চশিক্ষিত ছিলেন। তিনি ছিলেন এমটেক উত্তীর্ণ। 

আরও পড়ুনঃ পণের জন্য মৃত্যু শুধু পুরুষ অধিপত্যের বিষয় নয়, নারীদেরও ভূমিকা রয়েছে: দিল্লি HC

জানা গিয়েছে, গৃহবধূ হরিয়ানার পানিপথের বাসিন্দা। ২০১৭ সালে মহারাষ্ট্রের থানে জেলার বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। তাঁর এক পুত্র সন্তানও রয়েছে।  অভিযোগ, বিয়ের জন্য পণ হিসেবে পাত্রপক্ষকে লক্ষ ৪০ টাকা দিয়েছিল গৃহবধূর পরিবার। এছাড়াও দিয়েছিলেন অনেক দামি আসবাবপত্র। কিন্তু, তারপরেও সন্তুষ্ট হননি শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বিভিন্ন সময়ে আরও টাকা চেয়ে গৃহবধূর ওপর নির্মমভাবে শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার চলে।

জানা গিয়েছে , গৃহবধূর শ্বশুর বাড়ির লোকজন মুম্বইয়ে একটি ফ্ল্যাট কেনার জন্য অতিরিক্ত ৫০ লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন। গৃহবধূকে তাঁর বাবা-মায়ের কাছ থেকে সেই টাকা আনতে বলেছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজন। কিন্তু, তারা জানিয়ে দেয় এতো টাকা তাদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। এরপর গৃহবধুর উপর শ্বশুর বাড়ির লোকেদের শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন আরও বেড়ে যায়। 

গত বছরের ২৪ অক্টোবর মাত্রা ছাড়া হয়ে যায় সেই শারীরিক নির্যাতন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গৃহবধূ রান্না ঘরে লুচি ভাজছিলেন। সেই সময় তাঁর উপর চলে অত্যাচার। তাঁর ননদ ও শাশুড়ি শক্ত করে তাঁর হাত ধরে এবং তাঁর স্বামী গায়ে গরম তেল ঢেলে দেয়। আর তাঁর শ্বশুর আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনায় ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিলেন গৃহবধূ। এই অবস্থায় এরোলিতে জাতীয় বার্ন হাসপাতালে তাঁকে ভরতি করা হয়। কিন্তু, প্রায় ৩ মাস হাসপাতালে ভরতি থাকার পর গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এদিকে, চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার সময় পুলিশের কাছে বয়ান দিয়েছেন গৃহবধূ। তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান, তাঁর ছেলেকে হত্যা করার হুমকি দেওয়া হয়েছে। প্রথমে গৃহবধূর মা রাবেলে থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, সেখান থেকে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। বলা হয় পানিপথ থানায় মামলা করতে হবে। এরপর তিনি পানিপথ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪- এর বি ধারা সহ অন্যান্য ধারায় মামলার রুজু করে পুলিশ। পরে মামলাটি কাসারওয়াদাভালি থানায় স্থানান্তরিত হয়।