রাত পোহালেই গঙ্গার নীচ দিয়ে ছুটবে মেট্রো, নিরাপত্তারক্ষীরা কর্মচ্যুত হওয়ায় তৈরি আশঙ্কা

গঙ্গার নীচ দিয়ে যাবে মেট্রো। আর তাতে সফর করতে এখন উদগ্রীব হয়ে রয়েছেন এই বাংলার মানুষজন। রাত পোহালেই সেই সফর শুরু হওয়ার কথা। ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রোর শেষ স্টেশন হাওড়া ময়দান থেকে কিন্তু এখনও দখলদারদের সরেনি। পুনর্বাসনের ব্যবস্থা হয়নি, যাঁরা ফুটপাতে বসে ব্যবসা করেন তাঁদের। এই আবহে মেট্রো রেলে কর্মরত অস্থায়ী নিরাপত্তারক্ষীরা অবস্থান–বিক্ষোভ শুরু করেছে দু’‌দিন হল। এটা যদি চলতে থাকে তাহলে হাওড়া ময়দান থেকে যাত্রী পরিষেবা ধাক্কা খেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিকে অনেকেই পরিকল্পনা করে রেখেছেন সকাল হলেই এই মেট্রো পরিষেবা নেবেন। কেমন অভিজ্ঞতা হল সেটা সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরবেন। তার সঙ্গে ছবি বা সেলফি তো আছেই। এই পরিস্থিতিতে বিক্ষোভকারী রক্ষীদের অভিযোগ, গত ১১ বছর ধরে কাজ করছেন ৯৬ জন অস্থায়ী কর্মী। তাঁদেরকে হঠাৎ নোটিশ ধরিয়ে কাজ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এই নোটিশ অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। সেটা না করলে শুক্রবার থেকে এসপ্লানেড–হাওড়া ময়দান পথে পরিষেবার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবেন তাঁরা। এমন হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় চাপ বেড়ে গিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষের। তাঁরা মুখে কিছু না বললেও সমস্যাটি নিয়ে আলোচনা করছেন বলে সূত্রের খবর।

আরও পড়ুন:‌ সিএএ কার্যকর হওয়ায় ভোটারের নাম কি বাদ পড়বে?‌ ভোটার তালিকা নিয়ে রইল নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ

অন্যদিকে ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রো সূত্রে খবর, হাও‌ড়া ময়দান থেকে মহাকরণ—এই পথে রাস্তার উপরে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখার জন্য মেট্রোর নির্মাণ সংস্থার সঙ্গে একটি ঠিকাদার সংস্থার চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী ঠিকাদার সংস্থা রক্ষী নিয়োগ করে। যদিও অভিযোগ উঠেছে, এই কর্মরত ৭০ জন ট্র্যাফিক কর্মী ও ২৬ জন নিরাপত্তারক্ষীকে হঠাৎ করে বুধবার থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর তাঁদের হাতে নোটিশ ধরানো হয়েছে। তারপর থেকে ওই নিরাপত্তারক্ষীরা হাওড়া ময়দান মেট্রো স্টেশন চত্বরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এটাই এখন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই নিরাপত্তারক্ষীরা বলছেন, মাসের পর মাস বেতন না পেয়ে কাজ করেছেন। কাজ বন্ধ করেননি। করোনাভাইরাসের সময়ও ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে গিয়েছেন তাঁরা। সেখানে এখন তাঁদের বসিয়ে দেওয়া হল।

এছাড়া এখন অন্য ঠিকাদার সংস্থাকে থেকে কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে রাহুল শর্মা, রাজা শঙ্কর–সহ অন্যান্যরা জানান, অবিলম্বে তাঁদের কাজে না নিলে শুক্রবার থেকে মেট্রো পরিষেবা তাঁরা শুরুই করতে দেবেন না। এই সমস্যা নিয়ে মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘‌যাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা ঠিকাদার সংস্থার কর্মী। যে ঠিকাদার সংস্থা বাড়ি নির্মাণ করল, তারাই যদি ওই বাড়িতে থাকার দাবি করেন, সেটা কি কেউ মেনে নেবেন? এটা ঠিক তেমনই বিষয়। মেট্রোয় যাত্রী পরিষেবা বাধা পেলে তা সামলানো হবে।’