Rahul on electoral bonds: ‘সবচেয়ে বড় তোলাবাজি চক্র’ ইলেক্টোরাল বন্ড প্রকল্পকে কটাক্ষ রাহুলের

ইলেক্টোরাল বন্ড প্রকল্পকে ‘বিশ্বের বৃহত্তম তোলাবাজি চক্র’ বলে মন্তব্য করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। রাহুল শুক্রবার থানেতে তাঁর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার মাঝেই একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন। সেখানেই তিনি এই মন্তব্য করেন। এই বন্ড প্রাপ্তির তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে কংগ্রেস

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এই প্রকল্প সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ্যে আসার একদিন পরেই রাহুল অভিযোগ করেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাপ্ত তহবিল রাজনৈতিক দলগুলিকে বিভক্ত করতে এবং বিরোধী সরকারগুলিকে উৎখাত করতে ব্যবহৃত হয়েছিল।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী বন্ড ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় চাঁদাবাজি চক্র। রাজনৈতিক দলগুলিকে ভাঙা এবং বিরোধী সরকারকে ফেলে দেওয়ার জন্য তহবিল নির্বাচনী বন্ড থেকে এসেছিল। কংগ্রেস নেতা আরও স্পষ্ট করে দেন যে রাজ্যগুলিতে কংগ্রেস সরকারগুলি প্রকল্পের জন্য চুক্তি দেয় তা সঙ্গে নির্বাচনী বন্ডের কোনও সম্পর্ক নেই। প্রসঙ্গত, কংগ্রেস বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, নির্বাচনী বন্ডের অর্থ দিলেই কংগ্রেস শাসনে থাকা রাজ্যগুলিতে প্রকল্পের চুক্তি পাওয়া যায়। 

আরও পড়ুন। কোন সংস্থা কত টাকা দিয়েছে, কোন পার্টি কত পেয়েছে, ওয়েবসাইটে ইলেকটরাল বন্ডের তথ্য দিল EC

বিজেপিকে আক্রমণ করে রাহুল গান্ধী বলেন, ইডি, সিবিআই এবং দেশের নির্বাচন কমিশনের মতো সংস্থাগুলি বিজেপির অস্ত্র। ইডি, নির্বাচন কমিশন বা সিবিআই দেশের যে প্রতিষ্ঠানই হোক না কেন, এখন তারা দেশের প্রতিষ্ঠান নয়, বিজেপি ও আরএসএসের অস্ত্র।

রাহুল বেলন, ‘এসব প্রতিষ্ঠান যদি তাদের নিজেদের মতো করে কাজ করতো তাহলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতো না। ওদের (বিজেপি) এটা নিয়ে ভাবা উচিত, একদিন যখন বিজেপি সরকার বদলাবে, তখন ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং ব্যবস্থা এমন হবে যাতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি। ‘ 

এর আগে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে নির্বাচনী বন্ড প্রকল্প নিয়ে বিশেষ তদন্তের দাবি জানান এবং তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিজেপির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার দাবি জানান। খাড়গে বলেন যে অনেক সন্দেহজনক দাতা রয়েছে এবং যারা এই বন্ড কিনেছেন তারা হয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (আরডি) বা আয়কর (আইটি) মামলায় জড়িত ছিলেন বা অন্য কোনও তদন্তকারী সংস্থার তদন্তের আওতায় ছিলেন

আরও পড়ুন | নিয়ম না মানায় RBIর নির্দেশে ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ১.৪ কোটির জরিমানা, তালিকায় বন্ধন ব্যাঙ্কও

মোদীকে কটাক্ষ করে খাড়গে আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলছেন না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা (খাব না, অন্যকে খেতে দেব না)”, কিন্তু আজ সুপ্রিম কোর্ট প্রকাশ করেছে যে বিজেপি কীভাবে নির্বাচনী বন্ড থেকে অর্থ উপার্জন করেছে। এসবিআইয়ের তথ্য বলছে, বিজেপি ৫০ শতাংশ এবং কংগ্রেস পেয়েছে মাত্র ১১ শতাংশ অনুদান।

ভারতের নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে যে বিজেপি নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পের মাধ্যমে পাঁচ বছরের ব্যবধানে ৬,০৬০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেস ১,৬০৯ কোটি টাকার বন্ড আয় করেছে। তৃতীয় স্থানে থাকা কংগ্রেস দল ১,৪২২ কোটি টাকা পেয়েছে, তারপরে বিআরএস, বিজেডি এবং ডিএমকে যথাক্রমে ১,২১৪ কোটি, ৭৭৫ কোটি এবং ৬৩৯ কোটি টাকা নগদ করেছে।