Sexual Harassment case against ex CM: গুরুতর অভিযোগ নাবালিকার, বছর ৮১-র প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে POSCO আইনে মামলা

কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ। এক নাবালিকা তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছেন। এই মর্মে কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুর একটি থানায় এফআইআর রুজু হয়েছে। ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে পকসো আইনের ৮ নং ধারা এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ (এ) ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। (আরও পড়ুন: পিছন থেকে ধাক্কা নয়, মমতার ‘মনে হয়েছিল…’, চোটের কারণ নিয়ে নয়া ব্যাখ্যা SSKM-এর)

আরও পড়ুন: মমতার চোট পাওয়ার রাতে বড় চমক, ৪ লোকসভা আসনের প্রার্থী ঘোষণা তৃণমূলের

জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরুর সদাশিবনগর থানায় বিএস ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে রুজু করা হয়েছে এই অভিযোগ। লোকসভা ভোটের আগে ইয়েদরাপ্পার বিরুদ্ধে এহেন অভিযোগে স্বভাবতই চরম অস্বস্তিতে পড়বে বিজেপি। গত বিধানসভা নির্বাচনে এই রাজ্যে হারতে হয়েছিল বিজেপিকে। তবে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-জেডিএস জোটের ভালো ফলের ইঙ্গিত মিলছে বিভিন্ন জনমত সমীক্ষায়। তারই মাঝে সেই রাজ্যে লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় নেতার নামে এহেন অভিযোগ উঠতেই তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রাজনীতি।

আরও পড়ুন: পয়লা বৈশাখের আগেই পকেটে বর্ধিত ডিএ, তড়িঘড়ি বিবৃতি জারি মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের 

রিপোর্ট অনুযায়ী, শুক্রবার খুব ভোরে বেঙ্গালুরুর সদাশিবনগর থানায় এসে বিএস ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ১৭ বছর বয়সি এক নাবালিকা। অভিযোগকারী তরুণীর দাবি, গত ২ ফেব্রুয়ারি বর্ষীয়ান এই নেতার সঙ্গে কিছু কাজের সুবাদে দেখা করতে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময়ই নাকি ইয়েদুরাপ্পা তাঁকে যৌন হেনস্থা করেন। এই আবহে ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার মামলা রুজু করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে বেঙ্গালুরু পুলিশ। তবে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি। এদিকে সকাল সকাল এই অভিযোগ প্রসঙ্গে কোনও বিবৃতি বা সাফাই দেননি ইয়েদুরাপ্পা নিজেও।

উল্লেখ্য, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে চারবার শপথগ্রহণ করেছেন বিএস ইয়েদুরাপ্পা। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর মাত্র এক সপ্তাহের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। পরে জেডিএস নেতা এইচডি কুমারস্বামীকে সমর্থন করে কংগ্রেস নয়া সরকার গঠন করেছিল। তবে ২০১৯ সালেই সেই সরকারের পতন হয়েছিল। ফের মসনদে বসেছিলেন ইয়েদুরাপ্পা। তবে ২০২১ সালে তাঁকে সরিয়ে দেয় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এরপর ২০২৩ সালের ভোটে মোদীকে মুখ করে লড়াইতে নেমেছিল বিজেপি। তবে কংগ্রেসের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ে পদ্ম শিবির। এরপরই ইয়েদুরাপ্পার ছেলেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি করা হয়। ইয়েদুরাপ্পা নিজে বিজেপির সংসদীয় কমিটির সদস্য হন। এর থেকেই ইয়েদুরাপ্পার রাজনৈতিক প্রভাবের আন্দাজ মেলে। এহেন বর্ষীয়ান নেতার বিরুদ্ধে এই গুরুতর অভিযোগে তাই অস্বস্তিতে পড়বে বিজেপি। তবে আপাতত দলের তরপ থেকেও এই বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।