ফেরত দেওয়া জমি চাষযোগ্য করছে রাজ্য সরকার, সন্দেশখালিতে কৃষকদের উন্নয়নে জোর

সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে বিরোধীরা এখনও ফাযদা তুলতে চাইছে। এমন আবহে রাজ্য সরকার সেখানকার কৃষকদের উন্নয়নের কাজ শুরু করল। জমি ফেরত দেওয়া থেকে শুরু করে সেই জমিকে চাষযোগ্য করে তোলার কাজে সাহায্যের হাত বাড়াল রাজ্য সরকার। আর তার জেরে উপকৃত হতে চলেছেন সন্দেশখালির কৃষকরা। জোর করে জমি নেওয়ার বিরোধী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেখানে তাঁর দলের নেতারা এমন কাজ করেছে বলে অভিযোগ। তার জেরে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। তাই কথা দিয়ে কথা রাখল রাজ্য সরকার। জমি ফিরিয়ে দেওয়ার কথা রাখা হল। এমনকী তা চাষযোগ্য করারও কাজ শুরু হয়েছে।

সন্দেশখালি কাণ্ডে রাজ্য সরকার কাউকে রেয়াত করেনি। কড়া হাতে গোটা বিষয়টি মোকাবিলা করেছে। তাই এখন গ্রেফতার হয়েছেন সন্দেশখালির শাহজাহান শেখ, উত্তম মণ্ডল, শিবপ্রসাদ হাজরা, জিয়াউদ্দিন মোল্লারা। তবে শাহজাহানকে রাজ্য পুলিশ গ্রেফতার করলেও এখন সিবিআই হেফাজতে আছেন। এই আবহে সন্দেশখালির সাধারণ মানুষের জন্য সবরকম সরকারি পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। এখানে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা সবচেয়ে বেশি দেওয়া হয়েছে। তবে এবার এগিয়ে এসেছে রাজ্যের কৃষি দফতরও। দফতর সূত্রে খবর, একশো জনের বেশি মানুষকে তাঁদের দখল হয়ে যাওয়া জমি ফিরিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। এবার সেই জমিগুলিকে চাষযোগ্য করে তুলতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। এই জমিগুলি চাষযোগ্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।

আরও পড়ুন:‌ মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে করা শুভেন্দুর মন্তব্যের প্রতিবাদ করল তৃণমূল, পাল্টা পথে নামছে দল

এদিকে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এই কাজ করা হচ্ছে। সন্দেশখালির মানুষের পাশে দাঁড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে মানুষ উপকৃত হন। তাই কৃষকদের জমি চাষযোগ্য করার প্রয়োজন থাকলে সেটা করতে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। তাই কাজ শুরু করেছেন জেলার কৃষি দফতরের অফিসাররা। এই ফেরত দেওয়া জমির বন অংশের মাটি পরীক্ষা হয়েছে। এখন এখানে বিশেষ ধরনের ধান চাষ করা যায় কি না সেটা খতিয়ে দেখছেন কৃষি দফতরের কর্তারা। তবে কৃষকদের ইচ্ছা সবজি চাষে।

অন্যদিকে এখানকার কৃষকদের চাষবাস করার জন্য বিসেষ প্রশিক্ষণ দেওযার ব্যবস্থা করা হবে বলেও খবর। তরমুজ চাষ করা যায় কিনা সেটা এখন দেখা হচ্ছে। সেটার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর। তবে এক্ষেত্রে কৃষকদের ইচ্ছাকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হবে। অর্থাৎ যে কৃষক যে চাষ করতে চান তাঁকে সেই সাহায্য করা হবে। এই বিষয়ে নবান্নের এক অফিসার বলেন, ‘সন্দেশখালি এলাকাটা বড়। অনেক মানুষের বাস সেখানে। জমি দখলের অভিযোগ উঠেছিল সেখানে। কিন্তু রাজ্য সরকার জমি দখলের পক্ষে নয়। তাই তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর সেখানে উন্নতমানের কৃষিকাজ নিশ্চিত করতেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’‌