RG Kar Medical College: আর জি করের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, পুলিশের কাছে রিপোর্ট তলব আদালতের

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে টেন্ডার দুর্নীতি সহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। সেই সংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে এর আগে বেশ কয়েকবার সরব হয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এবার সেই সংক্রান্ত অভিযোগের ভিত্তিতে আগামী ২১ মার্চের মধ্যে পুলিশকে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে শিয়ালদা আদালত।

আরও পড়ুনঃ আরজিকরে রোগী কল্যাণ সমিতি থেকে সরানো হল শান্তনুকে, অধ্যক্ষ পদে ফিরলেন সন্দীপ

জানা গিয়েছে, সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে টালা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল মাস চারেক আগে । সেই সংক্রান্ত অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে পুলিশের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না করার অভিযোগ উঠেছিল। তার ভিত্তিতেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিযোগকারী। সেই মামলার ভিত্তিতেই আদালতের এমন নির্দেশ। 

মাস চারেক আগে আর জি করের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ইডি-র কাছে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ করার পাশাপাশি সরব হয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেই সময়ে এক ব্যক্তির তরফেও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে টালা থানায় অভিযোগ হয়। কিন্তু, পুলিশ পদক্ষেপ না করায় অভিযোগকারী আদালতে যান। এবিষয়ে সুকান্ত মজুদার বলেন, এর আগে তিনি ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তদন্ত হলেই প্রকৃত দোষী ধরা পড়বে বলে জানিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। 

অন্যদিকে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ‘অ্যাসোসিয়েশন অব হেল্‌থ সার্ভিস ডক্টর্স’-এর সাধারণ সম্পাদক মানস গুমটা। তাঁর বক্তব্য, পুলিশের তদন্তে কোনও ভরসা নেই। যদিও এনিয়ে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টির খোঁজ নেবেন বলে জানিয়েছেন আর জি করের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায়।

প্রসঙ্গত, মাসখানেক আগে আরজিকর হাসপাতালে টেন্ডার দুর্নীতির বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছিল। ওই মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। 

অভিযোগ ছিল, আরজিকর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা বর্জ্য কোটি-কোটি টাকায় বাংলাদেশের বাজারে পাচার করা হচ্ছে। হাসপাতালের বর্জ্য সংগ্রহের জন্য একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি রয়েছে। সেই সংস্থার তরফেও অভিযোগ করা হয়েছিল যে হাসপাতাল থেকে অনেক চিকিৎসা বর্জ্য তাঁরা পাচ্ছিলেন না। যার মধ্যে রয়েছে ব্যবহার করা স্যালাইনের বোতল, তার, সিরিঞ্জ, গ্লাভস প্রভৃতি। এই অভিযোগ ওঠার পরে তদন্ত শুরু করে স্বাস্থ্য ভবন। এরপর এই অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি ইডির কাছে তদন্তের আর্জি জানানোর পাশাপাশি রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার।