Supreme court: নাবালিকা ছাত্রীকে ভরা ক্লাসে শিক্ষক ফুল নিতে বাধ্য করলে তা যৌন হয়রানির সমান: SC

একটি পকসো মামলায় তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত বলেছে, একজন স্কুল শিক্ষক যদি এক নাবালিকা ছাত্রীকে ফুল উপহার দেন এবং ক্লাসরুমে সকলের সামনে সেই ফুল গ্রহণ করার জন্য ছাত্রীকে বাধ্য করেন, তাহলে তা পকসো আইনের অধীনে যৌন হয়রানির সমান। তবে আদালত এমন পর্যবেক্ষণ করলেও উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে শেষ পর্যন্ত অভিযুক্ত শিক্ষককে বেকসুর খালাস দিয়েছে। একইসঙ্গে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে এই মামলায় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

আরও পড়ুনঃ কলকাতার স্কুলের নিরাপত্তারক্ষীর হাতেই যৌন হেনস্থার শিকার ছাত্রী, গ্রেফতার অভিযুক্ত

মামলার বয়ান অনুযায়ী, নাবালিকা ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। সেই সংক্রান্ত মামলায় তামিলনাড়ুর নিম্ন আদালত শিক্ষককে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। পরে মাদ্রাজ হাইকোর্টও শিক্ষকের ৩ বছরের কারাদণ্ড বহাল রাখে। হাইকোর্টের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ  হয়েছিলেন শিক্ষক। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত, বিচারপতি কে ভি বিশ্বনাথন এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ মাদ্রাজ হাইকোর্টের বাতিল করে শিক্ষককে বেকসুর খালাস করেছে। বেঞ্চ রায়ে বলেছে, শিক্ষকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে সেই সংক্রান্ত কোনও প্রমাণ মেলেনি। নির্যাতিতা ছাত্রী এবং সাক্ষীদের দেওয়া বয়ান অসঙ্গতিপূর্ণ। তাই আদালত শিক্ষককে বেকসুর খালাস করে।

বিচারপতি দত্ত রায় দিতে গিয়ে বলেছেন, পকসো মামলার মতো গুরুতর অভিযোগ যখন স্কুলে ভরা ক্লাসের মধ্যে ওঠে তখন এই ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে আদালতকেও সচেতন থাকতে হবে। কারণ একজন শিক্ষকের সুনাম এই ধরনের ঘটনায় প্রভাবিত হতে পারে। একজন শিক্ষককে অপদস্ত করার জন্য অনেক সময় পকসো আইনের অপব্যবহার করা হয়। দোষী সাব্যস্ত শিক্ষককে বেকসুর খালাস দিয়ে বেঞ্চ আরও বলেছে, ‘রাজ্যের আইনজীবীদের সঙ্গে আমারা একমত যে কোনও শিক্ষক একজন ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করলে তা নিঃসন্দেহে  গুরুতর প্রকৃতির অপরাধ।’

উভয় পক্ষের বয়ান এবং তথ্য খতিয়ে দেখে এই মামলায় নাবালিকার পরিবারের করা অভিযোগে একাধিক অসঙ্গতি খুঁজে পেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত উল্লেখ করেছে, ওই শিক্ষকের সঙ্গে আগে নাবালিকার পরিবারের মধ্যে বিরোধ ছিল। সেক্ষেত্রে তার প্রতিশোধ নিতে নাবালিকাকে তার পরিবারের দ্বারা ব্যবহার করার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না সুপ্রিম কোর্ট। তাই এই মামলায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।