লিস্টারের দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ব্যর্থ করে সেমিফাইনালে চেলসি

স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে নিজ দর্শকদের ক্ষোভের সাগরে হাবুডুবু খেতে বসেছিল চেলসি। দুই গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করার পর লিস্টার সিটি সমতা ফেরানোয় এমন কিছু অপ্রত্যাশিত নয়। হাফ ছেড়ে তারা বাঁচলো স্টপেজ টাইমে বদলি খেলোয়াড়ের গোলে। কার্নি চুকভুয়েমেকা উদ্ধার করলেন চেলসিকে। ১০ জনের লিস্টারকে পরে আরেকটি গোল দিয়ে ৪-২ এ জিতে এফএ কাপের সেমিফাইনালে উঠলো ব্লুরা।

চ্যাম্পিয়নশিপ দল লিস্টারের দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনকে ব্যর্থ করে দিলো চেলসি। কোয়ার্টার ফাইনালে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে খেলা ২-২ এ শেষ হওয়ার পর আরও ৮ মিনিট যোগ করা হয়। কোল পালমারের ব্যাক ফ্লিক থেকে দ্বিতীয় মিনিটে জাল কাঁপান কার্নি। মাদুয়েকে শেষ বাঁশি বাজার ঠিক আগে ৯৮তম মিনিটে স্কোর ৪-২ করেন।

১৩ মিনিটে মার্ক কুকুরেল্লার গোলে এগিয়ে গিয়েছিল চেলসি। পালমার প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। মাঝে রহিম স্টার্লিং পেনাল্টি মিস করলে দর্শক গ্যালারি ফুঁসে ওঠে। সেই ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে ৫১ মিনিটে অ্যাক্সেল দিসাসির আত্মঘাতী গোলে। এর ১১ মিনিট পর স্টেফি মাভিদিদি একক প্রচেষ্টায় অবিশ্বাস্য গোলে সমতা ফেরান।

৭৩ মিনিটে ক্যালাম ডোয়েল লাল কার্ড দেখলে লিস্টার সিটি ১০ জনের দল হয়। ঠিক তখন থেকেই পাল্টা গোলের জন্য মরিয়া ছিল চেলসি। ম্যাচ যখন অতিরিক্ত সময়ে গড়ানোর অপেক্ষায়, তখনই কার্নি ত্রাতারূপে আবির্ভুত হন।

শেষ আট বছরে ষষ্ঠবার এফএ কাপের সেমিফাইনালে উঠলো চেলসি। আপাতত তাদের কোচ মাউরিসিও পচেত্তিনো সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দিলেন। এবার দেখার অপেক্ষা সাত বছরে প্রথমবার এফএ কাপ দিয়ে ঘরোয়া ট্রফির খরা কাটাতে পারে  কি না!