Nabanna: প্যানেলের বাইরে থেকেও আইনজীবী নেবে সরকার, গুরুতর কারণ!

আদালতে গিয়ে বার বার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। একবার নয়, বার বার। ফের আদালতে গিয়েছে। সিঙ্গল বেঞ্চে ধাক্কা খাওয়ার পরে ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানেও ধাক্কা। তা সে সন্দেশখালিতে সিবিআই তদন্ত আটকানোর চেষ্টাই হোক কিংবা বিধানসভার বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে এফআইআর করার অনুমতি চেয়ে আবেদন। 

এদিকে সাধারণত সরকারের পক্ষে মামলা লড়ার জন্য নির্দিষ্ট প্যানেল থাকে। সেই প্যানেলের মধ্য়ে থেকেই আইনজীবীদের নেওয়া হয়। তবে এবার একটু অন্য পথে হাঁটতে চাইছে রাজ্য সরকার। মনে করা হচ্ছে বার বার আদালতে ধাক্কা খাওয়ার জেরে এবার মামলা লড়া নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। 

যেটা বলা হচ্ছে যে এবার অন্যরকম পদক্ষেপ নিতে চাইছে রাজ্য সরকার। এবার নবান্নের তরফে অনুমতি দেওয়া হয়েছে যে এবার রাজ্যের প্যানেলের যে আইনজীবী রয়েছে তার বাইরেও আইনজীবী নেওয়া যাবে। সেই মতো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের পুলিশ, সিআইডি বা গোয়েন্দা সংস্থার যোগ রয়েছে এমন মামলার ক্ষেত্রে এবার থেকে রাজ্য সরকার প্রয়োজন মনে করলে নিজেদের প্যানেলের বাইরে থাকা আইনজীবী যিনি সেই কেসের জন্য উপযুক্ত বলে মনে করা হবে তাঁকেই সেই কেসের জন্য বরাদ্দ করা হবে। 

এদিকে ওয়াকবহাল মহলের মতে, একটা মামলায় ধাক্কা খাওয়া মানেই হল সবার সামনে মুখ পোড়ে শাসকদলের। অস্বস্তি বাড়ে রাজ্য সরকারের। কিন্তু যেটা মনে করা হচ্ছে যে প্যানেলে থাকা আইনজীবীদের একাংশ নাকি কথা শুনছিলেন না। 

গত ৬ মার্চ এনিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। সেখানে বলা হচ্ছে প্যানেলের বাইরে থাকা আইনজীবীরাও এবার সরকারি মামলা লড়তে পারবেন। মানে সরকারের হয়ে মামলা লড়তে পারবেন। এক্ষেত্রে সবুজ সংকেত দিয়েছে রাজ্য সরকার। আসলে একাধিক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে রাজ্য সরকারের মনোভাব ঠিকঠাক আদালতে প্রতিফলিত করা হচ্ছে না। এমনকী পুলিশ কর্তাদের একাংশও এই সরকারি আইনজীবীদের একাংশের ভূমিকা নিয়ে সরকারের কাছে নালিশ জানান। এরপরই প্যানেলের মধ্য়ে থাকা আইনজীবীদের একাংশের উপর কোপ পড়তে থাকে। তার জেরে এবার নয়া সিদ্ধান্ত নিল সরকার। প্যানেলের মধ্য়ে থাকা আইনজীবীদের বাইরেও আইনজীবী নেওয়া যাবে। তাঁরাই যাবতীয় পদক্ষেপ নেবে। এই নয়া পদ্ধতি প্রয়োগ করে আদৌ কতটা সফল হওয়া যায় সেটাই দেখার চেষ্টা করছে নবান্ন। তবে এতে সফল না হলে তারপর কোন পথ নেয় সরকার সেটাও দেখার।