Drunken clark: স্কুলের বাইরে মদ্যপ অবস্থায় রাস্তায় পড়ে ক্লার্ক, সমালোচনায় সরব অভিভাবকরা

স্কুলের বাইরে মদ্যপ অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আছেন এক ব্যক্তি। তবে তিনি কোনও সাধারণ ব্যক্তি নন। আসলে তিনি হলেন ওই স্কুলেরই একজন ক্লার্ক। শেষে পড়ুয়ারা তাকে রাস্তা থেকে তুলে স্কুলে নিয়ে যায়। বর্ধমানের পর এবার এই ঘটনা ঘটল পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে এলাকায়। ক্লার্কের এমন কীর্তিতে সমালোচনার ঝড় উঠেছে শিক্ষক মহল থেকে শুরু করে অভিভাবক মহলে।

আরও পড়ুনঃ মত্ত অবস্থায় স্কুলে ঢুকে পড়ুয়াদের মার, তার পর বমি করে শুয়ে পড়লেন শিক্ষক

জানা গিয়েছে, দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের রঘুনাথপুরে রয়েছে স্কুলটি। এই স্কুলের নাম হল- রঘুনাথপুর সরোজ মোহন স্মৃতি বিদ্যালয়। সেই স্কুলের একেবারে সামনের রাস্তায় মদ্যপ অবস্থায় ক্লার্ককে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তিনি মদ খেয়ে এতটাই বেসামাল হয়ে পড়েন যে শেষ পর্যন্ত টলতে টলতে রাস্তায় পড়ে যান। আর উঠে স্কুলে যেতে পারেননি। শেষে তাকে পড়ে থাকতে দেখে পড়ুয়ারা ধরাধরি করে নিয়ে যান। অভিযোগ, এই প্রথম নয় এর আগেও বহুবার মদ্যপান করে স্কুলে এসেছেন ওই ক্লার্ক। প্রধান শিক্ষক এ নিয়ে বেশ কয়েকবার অভিযোগ পেয়েছেন। তা সত্ত্বেও প্রধান শিক্ষক বা ম্যানেজিং কমিটি কেউই কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষুব্ধ স্কুলের পড়ুয়াদের অভিভাবক এবং স্থানীয়রা।

এদিন ঘটনার পরে সেখানে যান স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান। তিনি এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক কিঙ্করচন্দ্র পাত্র এই ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি ঘটনাকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন। তবে দাসপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লাল্টু চক্রবর্তী এরজন্য প্রধান শিক্ষককে দায়ী করেছেন।

তবে মদ্যপান করে স্কুলে আসার ঘটনা এই প্রথম নয়, এর আগেও বিভিন্ন স্কুলে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে একইভাবে স্কুলের বাইরে মদ্যপান করে রাস্তায় পড়েছিলেন এক শিক্ষক। ঘটনাটি ঘটেছিল বর্ধমান শহরের অন্তত‍্য গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত বর্ধমান শিবকুমার হরিজন বিদ‍্যালয়ে। ওই শিক্ষকের নাম জয়রাম কুমার সিং। ঘটনাকে কেন্দ্র করে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল অভিভাবক থেকে শুরু করে শিক্ষক মহলে। শুধু তাই নয়, এর আগে গত জানুয়ারি মাসে মদ্যপ অবস্থায় স্কুলে আসার অভিযোগ উঠেছিল দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। সেক্ষেত্রে ঘটনাটি ঘটেছিল বিহারের খাগারিয়া জেলার একটি সরকারি স্কুলে। মুখে মদের গন্ধ নিয়ে তারা ক্লাস করতে গিয়েছিলেন। তখন বিষয়টি বুঝতে পেরে তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেছিলেন অন্যান্য শিক্ষকরা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।