হেলিকপ্টারে চড়তে চেয়েছিলেন, গাড়িকেই ‘হেলিকপ্টার’ বানিয়ে নিলেন দুই ভাই

আশ্চর্যজনক কীর্তি! উত্তরপ্রদেশের আম্বেদকরনগরে বড় ঘটনা ঘটিয়ে বসেছে দুই ভাই। বিয়ে করতে যাওয়ার জন্য শখের গাড়িটিকেই সরাসরি হেলিকপ্টারে পরিণত করে বসেছেন দু’জনে। দুই ভাই-ই হেলিকপ্টারে চড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু টাকার অভাবে কিনতে পারেননি। তাই নিজ হাতেই জুগাড়ু হেলিকপ্টার বানিয়েছেন তাঁরা। সেই ভিডিয়োও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

আম্বেদকর নগরের ভিটি তহসিল এলাকার খেজুরি বাজারের বাসিন্দা ঈশ্বরদিন ও পরমেশ্বরদিন, এই উদ্ভাবনটি করেছেন। জানা গিয়েছে, শীঘ্রই বিয়ে করতে চলেছেন তাঁরা। পুরোদমে চলছে বিয়ের প্রস্তুতি। বিয়ের পর দুই ভাইই হেলিকপ্টারের মতো গাড়িতে করে কনেদের বাড়ি আনতে চেয়েছিলেন। এ জন্য তাঁরা তাঁদের পুরনো গাড়িটিকে হেলিকপ্টারে পরিবর্তন করেছিলেন। হেলিকপ্টার সদৃশ গাড়ি প্রস্তুত করার পরে, ঈশ্বরদিন রবিবার আকবরপুরে এটির ছবি আঁকার জন্য নিয়ে এলে, হঠাৎ গাড়িটি নজরে আসে পুলিশের।

সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। ট্রাফিক সাব-ইন্সপেক্টর জয় বাহাদুর যাদব বলেছেন এই পরিবর্তন করা বেআইনি। এ জন্য প্রথমে পরিবহন দফতর থেকে অনুমতি নিতে হবে। এরপরই হেলিকপ্টার সদৃশ গাড়িটি আটক করেছে আকবরপুর কোতোয়ালি পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা গাড়িটি সিও সিটি অফিসের ক্যাম্পাসে রাখা হয়েছে। যেখানে দিনভর ছিল দর্শকদের ভিড়। মানুষ দেখছিলেন যে কীভাবে গাড়িটিকে হেলিকপ্টারের আকার দেওয়া হয়েছে।

  • ভাইরাল ভিডিয়োটি এখানে দেখুন

ভিডিয়োটি পোস্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তুমুল ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। বেশিরভাগ মানুষ এই উদ্ভাবনের প্রশংসা করেছেন এবং এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য একটি নিরাপদ জায়গা দেওয়ার জন্যও অনুরোধ করেছেন তাঁরা। কেউ কেউ আবার এমন গাড়ি বানানো বেআইনি বলে পুলিশের বাজেয়াপ্ত করার বিষয়টিকে মন থেকে মেনে নিতে পারেননি। একজন বলেছেন, ‘তাই বলি যে এই দেশটা ভালো নয়। দেশে নতুনত্বের কোনো জায়গা নেই।’ অন্যজনের দাবি, ‘আমি রাজ্য সরকারকে অনুরোধ করছি যেন তারা তাদের উদ্ভাবনটি নিরাপদ জায়গায় ব্যবহার করার অনুমতি দেয়।’

এদিকে, খুব স্বাভাবিকভাবেই পুলিশের পদক্ষেপের পর দুই ভাইই বেশ হতাশ। তাঁরা বলেছেন যে যানবাহন পরিবর্তনের নিয়ম সম্পর্কে সচেতন ছিলেন না। নব বিবাহিত কনেকে হেলিকপ্টারে নিয়ে আনার স্বপ্ন তাঁর স্বপ্ন হয়েই রয়ে গেল।

যেহেতু দুই ভাই গাড়িটিকে হেলিকপ্টারে পরিবর্তন করার আগে কোনও অনুমতি পত্র দেখাতে পারেননি, তাই তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও জেলার অন্যান্য জনগণকে অনুরোধ করা হয়েছে যে কর্তৃপক্ষের কোনও নির্দেশ ছাড়া তাঁদের যানবাহন পরিবর্তন করা যাবে না, অন্যথায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।