Protest against CAA in Thakurnagar: ‘নাগরিকত্ব পেতে নিজেকে বাংলাদেশি বলতে হবে’, মতুয়া গড়ে প্রশ্নের মুখে সিএএ

লোকসভা ভোটের আগে দেশে কার্যকর হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সংক্রান্ত বিধি। এই আবহে বাংলাদেশ থেকে আসা শরণার্থী হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানরা ভারতীয় নাগরিক হওয়ার জন্যে আবেদন করতে পারবেন বলে জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে এরই মধ্যে সিএএ নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। সিএএ-র মাধ্যমে নাগরিকত্ব পেতে গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ভারতের সব নথি বাতিল বা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হবে কি না, তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এবার সিএএ-র বিরোধিতায় রাস্তায় নেমেছে ‘বাংলা পক্ষ’। সম্প্রতি বনগাঁয় ঠাকুরনগরে একটি সভা করে বাংলা পক্ষ। সেখান থেকেই সিএএ নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন তোলে তারা। (আরও পড়ুন: CAA-তে পুরুষাঙ্গ পরীক্ষার নিদান তথাগতর, ‘নগ্ন প্রতিহিংসা…’, সরব তৃণমূল)

আরও পড়ুন: ইলেক্টোরাল বন্ড অনুদানের তালিকায় তৃতীয়তে নামল তৃণমূল, নয়া তালিকায় হেরফের হিসেব

উল্লেখ্য, সিএএ কার্যকর হওয়ার পরে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছিলেন, তিনি সিএএ-তে আবেদন জানাবেন না। পরে অবশ্য তিনি আবার দাবি করেন, তিনি সিএএ-র মাধ্যমে ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্যে আবেদন জানাবেন। এই সবের মাঝে সংশয় তৈরি হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যেও। এই আবহে সিএএ-র ফর্মের বেশ কিছু দিক তুলে ধরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উদ্দেশে কয়েক দফা প্রশ্নবাণ নিক্ষেপ করেছে বাংলা পক্ষ।

আরও পড়ুন: মাথায় পট্টি নিয়ে গার্ডেনরিচে মমতা, নিজের এলাকায় অবৈধ নির্মাণ নিয়ে কী বললেন মেয়র?

বাংলা পক্ষের দাবি, সিএএ-র যে বিধি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, নিজেকে অবৈধ বাংলাদেশী বা পাকিস্তানি ঘোষণা করতে হবে। বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের নথি না থাকলে আবেদনই করত পারবে না। তারপরও নাগরিকত্বের কোনও গ্যারান্টি নেই বলে অভিযোগ তাদের। এই আবহে বিজেপি নেতৃত্বের প্রতি বাংলা পক্ষের চ্যালেঞ্জ, ‘শান্তনু ঠাকুর, জগন্নাথ সরকার, নিশীথ প্রামাণিকরা প্রকাশ্যে আইনটা পড়ে পড়ে এবং তার বাংলা তর্জমা করে বাঙালিকে শোনাক। একজন আবেদন করুক পোর্টালে এবং কি কি ডকুমেন্ট লাগছে তার ভিডিওগ্রাফি করুক সবার সামনে এবং তা প্রেস কনফারেন্সে প্রকাশ করুক।’ এর সঙ্গে বাংলা পক্ষের আরও দাবি, দেশভাগের বলি হয়েছে মূলত বাঙালি। তাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সিএএ নিয়মের এই নথি বাংলা ভাষায় প্রকাশ করুক যাতে সব উদ্বাস্তু বাঙালি বুঝতে পারে।

এই বিষয়ে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘বাংলা পক্ষ তথ্য ও যুক্তি দিয়ে বোঝায়। বিজেপির ক্ষমতা নেই যে তারা কাগজ পড়ে শোনাবে। বাংলা পক্ষ কাগজ দেখাচ্ছে। উদ্বাস্তু বাঙালিরা এরপর যেন আর কাগজ না দেখায়। এই সিএএ হিন্দু বাঙালির মারণফাঁদ। অধৈধ বাংলাদেশি ঘোষণা করে এবং বাংলাদেশের ডকুমেন্ট দিতে হবে। এভাবে কেন নাগরিকত্বের আবেদন? কারও কাছে বাংলাদেশের ডকুমেন্ট নেই। তারপরও মোদীর আইনে নাগরিকত্বের গ্যারান্টি নেই কেন? আমরা জানতে চাই। কেন নিঃশর্ত নাগরিকত্ব নেই?’