Viral Pizza recipe: আনারস পিৎজার পর এবার ল্যাংচা পিৎজা, রেসিপি দেখলেই ঘুরে যাবে মাথা

মিষ্টি পিৎজা, রুটির উপর গোলাপ জামের কুঁচি ছড়িয়ে, তার উত্তর ভালো করে চিজ দিয়ে বেক করে তৈরি হল পিৎজা। মিষ্টি দোকানে পাওয়া যাবে নাকি!

আগে রান্নাঘরে বিভিন্ন রেসিপি নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতেন মায়েরা। দুপুরের খাবারে চলে আসত কিছু অন্তত হটকে পদ। এবার সেই একই রাস্তায় হাঁটছেন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরাও। দিন দুপুরে মাঝ রাতে, যখন খুশি ভাইরাল হয়ে চলেছে একের পর নেভার সিন বিফোর রেসিপি। সে রেসিপির কেউ প্রশংসা করছেন। কেউ বা অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখছেন। কয়েকজন আবার ”অত্যন্ত খারাপ’ বলে কমেন্ট বক্সও ভরিয়ে তুলছেন।

আসলে খুব কমই এমন মানুষ রয়েছেন, যাঁরা ভেবেছিলেন যে তিনি একদিন ‘ল্যাংচা পিৎজা’ দেখতে পাবেন। ‘আনারস পিৎজা’ ‘চকলেট পিৎজা’-এর পর সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনায় রয়েছে ‘ল্যাংচা পিৎজা’। এই অনন্য পিৎজা আসল পিজ্জার সংজ্ঞাই পুরোপুরি বদলে দিয়েছে, যার ছবি শেয়ার করেছে @realfoodler-এর ইনস্টাগ্রাম রিলে। ভাইরাল ভিডিয়োটি এখনও পর্যন্ত ২২০ হাজারেরও বেশি ভিউস পেয়েছে। মন্তব্যে, ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীরা এই রেসিপির প্রতি তাদের অসম্মতি প্রকাশ করতে কিন্তু পিছপা হননি।

  • নীচে কিছু প্রতিক্রিয়া দেখুন

একজন ব্যবহারকারী ব্যঙ্গ করে লিখেছেন, ‘পরের বার রাবড়ি বানিয়ে ফেলুন চিজ দিয়ে।’ আরও একজনের দাবি, ‘ইতালীয়রা কোণে বসে কাঁদছে।’ তৃতীয় জন তো রীতিমত বিস্ফোরক মেজাজেই বলে বসেছেন, ‘কেউ গুলাব জামুনকে ভুল উচ্চারণ করছে, কেউ গুলাব জামুনের সঙ্গে অদ্ভুত ফিউশন তৈরি করছে। আর ঠিক কী দেখা বাকি আছে?’ ক্ষুব্ধ হয়ে অন্য নেটিজেন তো সরাসরি বলে দিলেন, ‘হয়, রাধুনিকে জেলে পাঠিয়ে দিন। নয়ত পিজ্জার স্বাদে মুখশুদ্ধি যোগ করার জন্য একটু ইঁদুরের বিষও মিশিয়ে নিতে পারেন।’

উল্লেখ্য, মাস কয়েক আগেই আনারস পিৎজা তৈরি করেই বিতর্কের শীর্ষে পৌঁছেছিলেন এক ব্যক্তি। ইতালীয় পিৎজা বিক্রেতা ছিলেন তিনি। ইতালির বিখ্যাত পিৎজা শেফ জিনো সরবিলো নেপলসের ভায়া দেই ট্রিবুনালি রাস্তায় অবস্থিত নিজের রেস্তোরাঁয় ‘মার্গেরিটা কন আনারস’ নামে একটি নতুন পিৎজা তৈরি করেছিলেন। ইতালীয়ানরা তো সোশ্যাল মিডিয়া এবং টিভি চ্যানেলগুলিতে এই পিৎজাটিকে মেনেই নিতে পারছিলেন না। কারণ তাঁরা বিশ্বাস করে যে পিৎজা এবং আনারস একে অপরের ঠিক বিপরীত। তবে, এ প্রসঙ্গে সরবিলো বলেছেন যাঁরা এটি খেয়ে দেখেছেন, তাঁরা এটি পছন্দও করেছেন। ওদিকে ইতালির খাদ্য সাংবাদিক বারবারা পলিটি বলেছিলেন, আনারস ইউরোপের খাদ্য সংস্কৃতির একটি অংশ।