Sexual Assault: নাবালিকা পরিচারিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে অসমে গ্রেফতার ডিএসপি

রক্ষকই হল ভক্ষক। একজন পুলিশের কাজ হল অপরাধের হাত থেকে সমাজকে বাঁচানো, দুষ্কৃতীদের নির্মূল করা। তার ওপর পুলিশের আধিরকারিক হলে সেই দায়িত্ব আরও বহুগুণে বেড়ে যায়। অথচ পুলিশের এরকমই এক আধিকারিকের বিরুদ্ধে নাবালিকা পরিচারিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠল। অসমের গোলাঘাট জেলায় পুলিশের ডিএসপি’র বিরুদ্ধে নবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগ ওঠার পরেই ওই ডিএসপি’কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এক পুলিশ আধিকারিকের এমন কীর্তিতে হতবাক পুলিশ মহল। 

জানা গিয়েছে, নাবালিকা পরিচারিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে ওই ডিএসপি’কে রবিবার গ্রেফতার করেছে অসম পুলিশ। অভিযুক্ত ডিএসপি’র নাম কিরণ নাথ। অভিযুক্ত আধিকারিক লাচিত বোরফুকান পুলিশ একাডেমিতে ডিএসপি পদে ছিলেন। গত শনিবার ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে দেরগাঁও থানায় অভিযোগ জানান ওই নাবালিকার পরিবার। তার ভিত্তিতে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।

ধৃত আধিকারিকের বিরুদ্ধে পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ৩৭৬ ধারা এবং ৫০৬ ধারায় মামলা রুজু করারা পাশপাশি নির্যাতিতা নাবালিকা হওয়ায় পকসো আইনের ৬ ধারা সহ অন্যান্য ধারায় মামলা রুজু করেছেন। গোলাঘাটের পুলিশ সুপার রাজেন সিং জানিয়েছেন, অভিযুক্ত আধিকারিক গত কয়েকমাস ধরে নাবালিকার ওপর যৌন নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন। অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। 

এমন ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অসম পুলিশের ডিজি জিপি সিং। তিনি জানিয়েছেন, এই অভিযোগের ভিত্তিতে উলিশ পদক্ষেপ করেছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখে যৌন নির্যাতনের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। তার ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি জানান, গোলাঘাট জেলায় দেরগাঁও থানায় ওই পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। একইসঙ্গে, ডিজি জানান, পুলিশ কর্মীদের মধ্যে যৌন অসদাচরণের প্রতি জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়ে থাকে। অসম পুলিশ সেই নীতি বাস্তবায়িত করতে বদ্ধ পরিকর। 

প্রসঙ্গত, এই ধরনের ঘটনা এই প্রথম নয়, এর আগেও অসমে এই ধরনের অভিযোগ সামনে এসেছে। এক নাবালিকা পরিচারিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল এক ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে। এই সংক্রান্ত অভিযোগ উঠেছিল ২০২২ সালের নভেম্বরে। সেই ঘটনায় ওই ম্যাজিস্ট্রেটকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।