Jute mill: লকেটের আশ্বাসের পরেও বন্ধ হয়ে গেল ভদ্রেশ্বরের জুট মিল, কর্মহীন ৩০০০ শ্রমিক

জগদ্দলের পর এবার ভদ্রেশ্বর। শ্রমিক অসন্তোষের জেরে বন্ধ হয়ে গেল রাজ্যের আরও একটি জুট মিল। ওই লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অর্থাৎ হুগলির বিদায়ী সাংসদ শ্রমিকদের সমস্যা সমাধান নিয়ে আশ্বস্ত করেছিলেন। কিন্তু, সেই আশ্বাসে কাজ হল না। তারপর সোমবার রাতেই জুট মিলের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন কর্তৃপক্ষ। এর ফলে লোকসভা ভোটের আগে কর্মহীন হয়ে পড়লেন জুট মিলের ৩ হাজার শ্রমিক। এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে ক্ষোভে ফেটে পড়েন শ্রমিকরা। তারা জুট মিলের গেটের বাইরে ধর্নায় বসেন। 

আরও পড়ুন: শ্রমিক অসন্তোষের জেরে বন্ধ হয়ে গেল জগদ্দলের জুট মিল, কর্মহীন ৩ হাজার কর্মী

জানা গিয়েছে, ওই শ্রমিক অসন্তোষ চলছিল গত কয়েকদিন ধরেই। জুট মিলে শ্রমিকদের অভিযোগ, চুক্তি না মেনে তাদের ওপর কাজের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে মালিকপক্ষ। এমনকী শ্রমিকদের অন্য বিভাগেও বদলি করা হচ্ছে। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় এর আগে ১৫ জন শ্রমিককে বহিষ্কার করেছিল কর্তৃপক্ষ। তার প্রতিবাদে এবং তাদের কাজে ফেরানোর দাবিতে জুটমিলের শ্রমিকরা সোমবার সকাল থেকে কাজ বন্ধ করে গেটের সামনে ধর্নায় বসেন। যদিও সেই সময় শ্রমিকদের কাজে যোগ দেওয়ার জন্য এবং তাদের দাবি নিয়ে আলোচনা প্রস্তাব দেন জুট মিলের চেয়ারম্যান প্রবল চক্রবর্তীরল। তবে শ্রমিকরা কাজে যোগ দেননি। আর সোমবার রাতেই কারখানায় কাজ বন্ধের নোটিশ জারি করে কর্তৃপক্ষ। 

প্রসঙ্গত, সামনে রয়েছে লোকসভা ভোট। এছাড়াও রয়েছে দোল ইদ, পয়লা বৈশাখের মতো উৎসব। এমন অবস্থায় এতজন শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়ায় স্বাভাবিকভাবেই সমস্যায় পড়েছেন মিলের ৩ হাজার শ্রমিক।

 এর আগে শনিবার প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মালিক পক্ষ এবং শ্রমিকদের মধ্যে ত্রিপাক্ষিক আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু তাতে কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি। তার দুদিন পরে সোমবার বন্ধ হয়ে গেল কারখানা। জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে সেখানে গিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। সেখানে তিনি শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন। 

পাশাপাশি তাদের পাশে থাকারও আশ্বাস দেন লকেট। তখন অনেকেই লকেটকে নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কেউ কেউ প্রশ্ন তোলেন, যে করোনার সময় কেন তাঁকে এলাকায় দেখা যায়নি? তবে লকেট জানান তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। আর এরপর শ্রমিকদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। তবে দেখা যায়, সোমবার রাতে বন্ধ হয়ে যায় কারখানা। এদিকে, লকেট আরও বলেন, না জানিয়ে চুক্তি করা হয়েছে। সেটা কোনওভাবে মেনে নেওয়া হবে না।