Suvendu Adhikari at Habra: বালুহীন হাবরায় সভা করে একের পর এক তৃণমূল নেতাকে হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু

জ্যোতিপ্রিয়হীন হাবরায় সভা করে নাম করে করে তৃণমূল নেতাদের শাসালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বাদ গেলেন না জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা লাগোয়া অশোকনগর বিধানসভার বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী থেকে মন্ত্রী রথীন ঘোষ।

আরও পড়ুন: ‘‌আমরা সু্প্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে ২০২৪ নির্বাচন চাই’‌, বিজেপিকে ঠুকে দাবি ডেরেকের

জেলে রয়েছেন হাবরার বিধায়ক তথা রেশন দুর্নীতিতে গ্রেফতার মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর জেলযাত্রায় জেলায় বদলে গিয়েছে তৃণমূলের রাজনৈতিক সমীকরণ। এই পরিস্থিতিতে হাবরার পল্লিমঙ্গল ক্লাবের মাঠে সভা করে এক এক তৃণমূল নেতাদের শাসালেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন নারায়ণ গোস্বামীকে দিয়ে শুরু করেন তিনি। বলেন, ‘অশোকনগরের এমএলএ বেশি ফটফট করবেন না। গরু পাচারে আপনার নাম আছে। একটু স্লো চলুন’।

যে লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত হাবরা বিধানসভা সেই বারসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারকেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। বলেন, ‘সাংসদের আপ্ত সহায়ক বাপি যা মাল তুলেছে… এবং তাঁর সঙ্গে জড়িত সাংসদও। আমি একথা বলেছিলাম বলে মানহানির মামলা করেছিল আমার বিরুদ্ধে। পাল্টা আইজীবীর চিঠিতে বাপ তোলার প্রসঙ্গ মনে করিয়ে দিতেই তারপর থেকে আমাকে আর খোঁচাতে আসেনি। বাপির বস্তাটা যদি খুলে দিই ওঁর ঘর থেকে বেরিয়ে প্রচার করা মুশকিল হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন: চোর আর শিক্ষক তো একসঙ্গে তর্ক করতে পারে না, অভিষেককে জবাব সুকান্ত মজুমদারের

বারাসত কেন্দ্রেরই অন্তর্গত মধ্যমগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষকেও ছাড়েননি তিনি। বলেন, ‘মধ্যমগ্রামে যদি হাত দেন, গার্ডেনরিচের মতো কত বেআইনি বিল্ডিং বেরোবে। পুরো দুর্নীতিতে রথীন ঘোষ জড়িত। আমার কাছে তার প্রমাণ রয়েছে। প্রচারে বেরিয়ে সেগুলো বলব। কয়েকদিন আগে ইডি, সিবিআই ওকে বাড়িতে গিয়ে আদর করে এসেছে’।