Adhir Chowdhury: ‘দিদি বুদ্ধিমতী, গ্রেফতারের ভয়েই ইন্ডিয়া জোট ছেড়েছেন’, মমতাকে কটাক্ষ অধীরের

আবগারি দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। আর্থিক তছরুপের তদন্তে কেজরিওয়ালের সরকারি বাসভবনে তল্লাশি ও প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর  দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়। এনিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে দেশের রাজনীতিতে। এরপরেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি বলেছেন, গ্রেফতারের ভয়ে ইন্ডিয়া জোট ছেড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুনঃ দিল্লির মুখ্য়মন্ত্রীকে কেন গ্রেফতার করল ইডি? তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগটা ঠিক কী?

এদিনই সামনে এসেছে বাংলায় কংগ্রেসের ৮ আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। তাতে  বহরমপুর থেকেই অধীরকে এবারও প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। প্রার্থী হওয়ার পর এদিন সাংবাদিক বৈঠক করেন অধীর। সেখানেই কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপিকে আক্রমণ করেন অধীর। তিনি বলেন, ‘বিরোধী জোটকে দুর্বল করে দেওয়ার জন্য কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করেছে। কয়েকদিন ধরেই কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করার চেষ্টা চালাচ্ছিল কেন্দ্র। সেই ভয়ে তৃণমূল ইন্ডিয়া জোটে সামিল হল না।’ 

এদিন তাঁর কথায় আরও একবার উঠে আসে তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির ‘ম্যানেজ’ তত্ত্ব। তিনি বলেন, ‘জোটে থাকার জন্য কেজরিওয়ালের বিপদ হল। দিদি হলেন বুদ্ধিমতী। জোটে না গিয়ে ম্যানেজ করে মোদীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে বেরিয়ে এলেন। তাই ভাইপোর কিছু হয় না।’ 

প্রসঙ্গত, কেজরিওয়াল গ্রেফতার হতেই দেশের রাজনীতিতে তোলপাড় পরে গিয়েছে। তাঁর গ্রেফতারিকে ‘চক্রান্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন অধীর। এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারের পরেই আপ নেত্রী তথা দিল্লির মন্ত্রী অতিশী মারলেনা সিং দাবি করেছেন, অরবিন্দ কেজরিওয়ালই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন এবং জেল থেকে তিনি তাঁর মুখ্যমন্ত্রিত্বের দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী কারাগার থেকেই কাজ করবেন। তাঁকে এই কাজ করা থেকে আটকাতে পারে এমন কোনও আইন নেই। তিনি এখনও দোষী প্রমাণিত হননি। 

উল্লেখ্য, দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় আপ নেতার বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ ওঠে। এই মামলায় ইডি তাঁকে একাধিক বার সমন পাঠিয়েছিল। তবে সমন এড়িয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আদালতে যান। তবে দিল্লি হাইকোর্ট তাঁকে রক্ষাকবচ দেয়নি। দিল্লি হাইকোর্টে মামলা উঠলে ছয় দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।