Rachana Banerjee : ‘ভাঙন রোধে টাকা দেয়নি কেন্দ্র’, কেন্দ্রকে আক্রমণ রচনার, পালটা তোপ লকেটের

হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরোদমে প্রচারে নেমে পড়ছেন। তিনি দাবি করেছেন, এবার ভোটে জিতে সাংসদ হলে প্রথমেই লোকসভায় গিয়ে বলাগড় এলকায় গঙ্গার পার ভাঙন নিয়ে কথা বলবেন। এছাড়া কেন্দ্র সরকারকে একের পর এক কটাক্ষ করেন রচনা। এনিয়ে পালটা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছেন কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, সমস্যা নিয়ে উনি কিছুই জানেন না।

আরও পড়ুনঃ বলাগড়ে প্রচারে লকেট-রচনা, হরিসভায় বিজেপি প্রার্থী নাচলেন দু’বাহু তুলে

বৃহস্পতিবার গুপ্তিপাড়ায় ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃন্দাবন মঠে পুজো দিয়ে রচনা বলেন, ‘হুগলির মানুষ যদি আমাকে ভোট দিয়ে জেতান তাহলে সংসদে প্রথম কথাই বলব বলাগড়ের ভাঙন নিয়ে। বলাগড়ের গঙ্গার ভাঙন দীর্ঘদিনের সমস্যা। আমি সেই সমস্যা সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল।’ এরপরেই কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে রচনা বলেন, ‘একটা বড় কাজ কেন্দ্র সরকারের সাহায্য ছাড়া হবে না।দিদি একা কত লড়াই করবে। পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নের জন্য তো দিদি লড়ছে। দিদির পক্ষে যতটা সম্ভব ততটা করেছে। তারপরও তো টাকার দরকার। কেন্দ্রীয় সরকার যদি তাকিয়ে না দেখে তাহলে কি করে সম্ভব।’ লকেটকেও আক্রমণ করেন তারকা প্রার্থী। তিনি বলেন, ‘পাঁচ বছরে এখানকার সাংসদকে দেখা যেত না। অথচ ভোট আসতেই এখন প্রচারের সময় তাঁকে দেখা যাচ্ছে।।’ 

এরপরই রচনাকে পালটা আক্রমণ করেছেন লকেট। তিনি বলাগড় ব্লকেরই চরকৃষ্ণবাটীতে সোলেমান বাবার আশ্রমে এ দিন পুজো দিতে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে লকেট বলেন, ‘উনি কিছুই জানেন না। কেন্দ্র ভাঙন রোধের জন্য রাজ্য অনেক টাকা দিয়েছে। তবে সেই টাকা ব্যবহার করেনি রাজ্য।’ কেন রাজ্য সরকার সেই টাকা খরচ করেনি তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন লকেট। তবে তৃণমূলের এক নেতার দাবি লকেট মিথ্যে কথা বলছেন। কেন্দ্র যে টাকা দিয়েছে তার কোনও প্রমাণ লকেট দিতে পারবেন না। তবে বিজেপির পালটা দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে বাংলায় কোনও কাজ হয়নি। মানুষ কোনও কাজ পায়নি। শুধুই দুর্নীতি হয়েছে। 

প্রসঙ্গত, এদিন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় পঞ্চম দিনে বলাগড়ে প্রচারে যান। তবে সেখানে তিনি ৩ ঘণ্টা দেরিতে পৌঁছন। বিভিন্ন গ্রাম থেকে মহিলারা বাড়ির কাজ ফেলে এসে দাঁড়িয়ে থাকেন। অপেক্ষা করতে করতে স্থানীয় নেতাদের দু চার কথা শুনিয়েও দেন।বলাগড় বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীকে ঘিরে ক্ষোভ দেখাতে দেখা যায় কর্মীদের। বলাগড় নেতৃত্বের একাংশকে না জানিয়ে প্রার্থীর প্রচার নিয়েও ক্ষোভ দেখান কর্মীরা।