‘আপনি নিজে চাননি চাকরি হোক’‌, অভিষেকের নিশানায় এবার বিজেপি নেতা অভিজিৎ

সদ্য বিচারপতি পদে ইস্তফা দিয়ে রাজনীতির আঙিনায় পা রেখেছেন তিনি। তারপরই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। লোকসভা নির্বাচনে তমলুক কেন্দ্র থেকে তাঁকে বিজেপি প্রার্থী করতে পারে বলে সূত্রের খবর। হ্যাঁ, তিনি কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার সরকারি চাকরি নিয়ে তাঁকে সরাসরি নিশানা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে চাকরিহারা, চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ে তুলোধনা করেন ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী। আর তা নিয়েই এখন আলোড়ন পড়ে গিয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে।

এদিকে চাকরিপ্রার্থীরা রাস্তায় বসে আছেন। তাঁরা কবে চাকরি পাবে? এই প্রশ্ন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে বাংলায়। তবে নিউজ ১৮ বাংলা সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিয়ে কড়া জবাব দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সরাসরি তুলোধনা করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। এই বিষয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‌যে বিচারপতি এই মামলা শুনছিলেন তাঁর ভূমিকা এখন স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। রাজ্য সরকার তার মানসিকতা এবং অবস্থান স্পষ্ট করেছে। আমরা চাকরি দিতে চাই। রাজ্য সরকার যদি সুপার নিউমেরিক পোস্ট করে চাকরি দিতে চায় সেক্ষেত্রে আপনি বলছেন সিবিআই করে দেব। তাঁদের বাদ দিয়ে যদি নোটিফিকেশন করা হয় সেটা করতে দেওয়া হচ্ছে না।’

আরও পড়ুন:‌ জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ লোকসভার প্রার্থী, যুবনেতার উপর আস্থা রেখেছে তৃণমূল

অন্যদিকে বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদছে বলে বারবার অভিযোগ তুলেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চাকরি পাচ্ছেন না অনেকে। তাই অভিষেকের বক্তব্য, ‘এবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলা শুনছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আমাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, আমরা যে কোনওভাবে চাকরি দিতে চাই। আপনারা বলুন কোন পন্থা অবলম্বন করবেন। আমরা যাঁদের চাকরি দিয়েছিলাম তাঁদের চাকরি বাতিল করে নতুন করে চাকরি দেওয়া হবে। না হলে অতিরিক্ত সুপার নিউমেরিক পোস্ট তৈরি করে চাকরি দেওয়া হবে। এই আবেদন করার জন্য তিনি সিবিআই দেন।’

এছাড়া অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ‘লাইমলাইটে’ থাকতেই এমন কাজ করেছেন বলে অভিযোগ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর কথায়, ‘আপনি নিজে চাননি চাকরি হোক। কারণ সেটা হলে আপনি মিডিয়া ফুটেজ পাবেন না।’ নিয়োগ ‘দুর্নীতি’ নিয়ে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। তখন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বারবার সিবিআই দেন। ফলে চাকরি আটকে যায়। আসলে তখন বিচারপতির আসনে বসে রাজনীতি করেছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলে অভিযোগ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সদ্য বিচারপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আর নিয়োগ আটকে রাখার জন্য এবার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দিকেই আঙুল তুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। চাকরিপ্রার্থীরাও বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন বলে দাবি তাঁর।