নিজেদের মাঠে আমরা আরও বেশি শক্তিশালী: কাবরেরা

শুক্রবার মধ্য রাতে দেশে ফিরে শনিবার বিকালে কিংস অ্যারেনাতে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ ফুটবল দল। ২৬ মার্চ ফিলিস্তিনের বিপক্ষে লড়াইয়ের জন্য তৈরি হচ্ছেন জামাল ভূঁইয়া-তপু বর্মণরা। তবে কুয়েতে ২১ মার্চ ৫ গোলে ম্যাচ হারের যন্ত্রণা ভুলতে পারছেন না কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। এবার নিজেদের মাঠে শক্তিশালী দল হয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা স্প্যানিশ কোচের।

নিজেদের মাঠে প্রত্যাশিত সমর্থকদের সামনে চাওয়া-পাওয়া বেশি থাকবে, তাই আশাবাদী কাবেররা। আজ কিংস অ্যারেনার অনুশীলনের ফাঁকে সংবাদ মাধ্যমকে কুয়েতের ম্যাচ নিয়ে তিনি বলেছেন,‘বিপর্যয়… এটা একটু কঠিন শব্দ। কিন্তু আমাদের কাছে এটা (প্রথম লেগের ফল) এমন বিষয়, আমাদের মনে হয়েছিল ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ১০০-এর মধ্যে থাকা, সবশেষ এশিয়ান কাপের শেষ ষোলোয় খেলা দলের বিপক্ষে এমন কিছু ঘটতে পারে। আমাদের শুরুর ৪০ মিনিট ছিল খুবই ইতিবাচক, যা আমরা টেনে নিতে পারিনি। কিন্তু এই পর্যায়ে কেন আমরা ৯০ মিনিট পর্যন্ত খেলা চালিয়ে যেতে পারলাম না, তার কারণে খুঁজে বের করতে হবে।’

আগের ম্যাচের ব্যবচ্ছেদ করতে গিয়ে কাবরেরা জানালেন, ‘বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে ২টি গোল হজম করা আমাদের জন্য কঠিন ছিল। সম্ভবত এটা মানসিকভাবে আমাদের জন্য বড় ধাক্কা ছিল, এরপর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আরও দুই গোল খেলাম, তাতে ম্যাচ শেষ হয়ে যায়। কিন্তু আবারও বলছি, এখন সময় পর্যালোচনার, বিশ্লেষণের ও শেখার। ইতিবাচক দিকগুলো নিতে হবে, নিশ্চিতভাবে কিছু বিষয় অ্যাডজাস্ট করতে হবে। ফিরতি লেগে নিজেদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা, চাহিদা আরও বেশি হতে হবে। আমরা জানি, নিজেদের মাঠে আমরা আরও বেশি শক্তিশালী।’

প্রথম লেগে রক্ষণের ভুলে প্রথমার্ধের শেষ দিকে দুই গোল হজম করে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। এর আগে মোহাম্মদ সোহেল রানা গোলের সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন।

তবে কাবরেরা বলেছেন, ‘(কুয়েতের ম্যাচে) হাই লাইন ডিফেন্ডিংয়ের চেষ্টা করেছিলাম আমরা। এই শেপে দ্বিতীয়ার্ধে আরও আগ্রাসী হওয়ার পরিকল্পনা ছিল। যেভাবে আমরা প্রথমার্ধে খেলতে পেরেছিলাম, কয়েকটি ভালো সুযোগ পেয়েছিলাম, কিন্তু কাজে লাগাতে পারিনি। হয়তো ওগুলো হলে ম্যাচও ভিন্নরকম হতে পারতো। শেষ পর্যন্ত আমরা রক্ষণে ভুগেছি। ফিলিস্তিন শক্তিশালী দল, ভালো খেলোয়াড়, গতিময় খেলোয়াড়, শক্তিশালী (পাওয়ারফুল) খেলোয়াড় আছে তাদের। আবারও বলছি, এখন সময় পুনর্গঠনের এবং দ্বিতীয় লেগের জন্য প্রস্তুত হওয়ার।’

চোটের কারণে কাজী তারিক রায়হানের অনুপস্থিতির প্রভাব রক্ষণে পড়েছে। তবে কাবরেরা মনে করছেন দুই দলের খেলার মানই বড় পার্থক্য গড়ে দিয়েছে, ‘আমি ডিফেন্ডারদের নিয়ে খুশি। জটিল পরিস্থিতিতে তারা নিজেদের কাজ খুব ভালোভাবে করেছে। আমরা একটু হাই লাইন ডিফেন্ডিং করেছি, যাতে করে ফিলিস্তিনের ক্রসের জায়গা সংকুচিত করতে পারি। কিন্তু সেটা আমরা পুরো ম্যাচজুড়ে করতে পারিনি, কোনও কোনও ক্ষেত্রে পেরেছি। আসলে বিষয়টা আমাদের দুর্বলতার নয়, তার চেয়ে বরং ফিলিস্তিনের মানের। ছেলেদের প্রতি আমার পুরো আত্মবিশ্বাস আছে। কোনও অভিযোগ নেই।’

এরপরই যোগ করেন, ‘তারিকের অনুপস্থিতি আমার কাছে বলার মতো কোনও পয়েন্ট নয়। কেননা, শুরু থেকেই আমরা জানতাম সে খেলতে পারবে না। সে অনুযায়ী আমরা সবকিছু গুছিয়েছিলাম। তারিক গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়, কিন্তু স্কোয়াডে অন্য যারা আছে, তার জায়গা পূরণের সামর্থ্য তাদের আছে। আবারও বলছি, রক্ষণভাগ নিয়ে আমার কোনও অভিযোগ নেই।’