‘‌ষড়যন্ত্রের চিত্রনাট্য চলছে’‌, মহুয়া মৈত্রের বাড়িতে সিবিআই হানা নিয়ে সরব কুণাল

সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বাড়িতে এবার সিবিআই তল্লাশি করল। এমনকী কৃষ্ণনগরের দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে তল্লাশি চালিয়েছেন গোয়েন্দারা। এই ঘটনার তীব্র বিরোধিতা করলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। আজ, শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই ঘটনাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে বলে আক্রমণ করলেন কুণাল। পাশাপাশি তিনি এই বিষয়ে উদাহরণ টানেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা এবং নারায়ণ রানেরও। এমনকী তিনি বিজেপিকে আক্রমণ করেন ইলেক্টোরাল বন্ড নিয়ে। সংসদে অর্থের বিনিময়ে প্রশ্নের অভিযোগ মামলার ভিত্তিতেই সিবিআই তল্লাশি চালাচ্ছে। তবে এসবের পেছনে ‘গভীর ষড়যন্ত্র’ দেখছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীকে চাপে ফেলতেই এই কেন্দ্রীয় এজেন্সির ব্যবহার বলে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হলেন কুণাল।

এদিকে আজ, শনিবার সিবিআইয়ের একটি দল আসে আলিপুরের ‘রত্নাবলী’ আবাসনে। সেখানের ৯ তলার একটি ফ্ল্যাটে থাকেন মহুয়ার বাবা দীপেন্দ্রলাল মৈত্র। সেই ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় সিবিআই অফিসাররা। আবার কৃষ্ণনগরের সিদ্ধেশ্বরী তলায় যেখানে মহুয়া নিজে থাকেন সেখানে যায় সিবিআইয়ের পাঁচ সদস্যের দল। কুণাল এই বিষয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ‘সিবিআই ও ইডিকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে। এজেন্সির অপব্যবহার করা হচ্ছে। সংসদীয় কমিটিতে বড় চক্রান্ত হয়েছে। কারণ তিনি দূর্নীতি নিয়ে কথা বলেছেন। তাঁকে অশ্লীল ইঙ্গিত করা হয়। ষড়যন্ত্রের চিত্রনাট্য চলছে বলেই সিবিআইকে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে। মহুয়া লড়ছেন, লড়বেন এবং জিতবেন।’

আরও পড়ুন:‌ নির্বাচনে কোনও হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে না, তৃণমূলের পাল্টা চিঠি কমিশনকে দিলেন রাজ্যপাল

অন্যদিকে আজ সিবিআই হানার সময় মহুয়া মৈত্র বাড়িতে ছিলেন না। নির্বাচনী প্রচারের কাজে তিনি বাইরে আছেন। তার মধ্যেই সিবিআই হানা হওয়ায় এবার সরব হল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বিজেপি রাজনৈতিক ভাবে লড়াই করতে পারছে না। তাই কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করা হচ্ছে নির্বাচনের প্রাক্কালে। তবে কুণালের বক্তব্য, ‘‌বিরোধীদের উপর তৎপরতা বাড়ছে। আসলে হার বাঁচাতে মরিয়া হয়ে গিয়েছে বিজেপি। সব নখ–দাঁত বের করে নেমে পড়েছে। বাংলা হল ওদের গলার কাঁটা। বিজেপি রাজনৈতিকভাবে আত্মবিশ্বাসী নয়। আর বিজেপিকে যে মানুষ চাইছে করছে না সেটা বুঝেই এজেন্সি নামানো হয়েছে। হিমন্ত বিশ্বশর্মা, নারায়ণ রাণে, শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিলেই ভাল হয়ে যায়।’‌

এছাড়া মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে গত ১৯ মার্চ তদন্তের নির্দেশ দেয় লোকপাল। এমনকী মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ‘গুরুতর’ বলে দাবি করা হয় লোকপালের নির্দেশিকায়। তারপরই মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে সিবিআই। আর আজ থেকে নেমে পড়ে তল্লাশি করতে। কুণালের কথায়, ‘‌কংগ্রেস আর সিপিএম দুই অতৃপ্ত আত্মা। তাদের উপর এসব হবে নাকি। তৃণমূল কংগ্রেসের উপর তাই ঝাঁপিয়ে পড়েছে। আসলে কংগ্রেস–সিপিএমের এই দ্বিচারিতা কেন? তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের বাড়িতে এজেন্সি এলে ভাল। আর কংগ্রেস নেতার বাড়িতে গেলেই খারাপ। এটা চলতে পারে না। এরা আবার ইন্ডিয়ার শরিক!‌’‌