কৌস্তভের বাড়ি থেকে চুরি! হাওয়া লাখ টাকার নির্মাণ সামগ্রী ও পুরনো মামলার নথি

কংগ্রেস থেকে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীর বাড়ি থেকে চুরি হয়ে গেল লক্ষাধিক টাকার সামগ্রী। তাঁর বাড়িতে রাখা ছিল লক্ষাধিক টাকার নির্মাণ সামগ্রী। সেই সমস্ত সামগ্রীই চুরি হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, তাৎপর্যপূর্ণভাবে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার নথিও চুরি হয়ে গিয়েছে। তাই নিয়ে ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। বিজেপি নেতার বাড়িতে চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

আরও পড়ুনঃ ‘মোদীজী বাংলাকে বাচান’ PM-কে রক্তে কৌস্তভের লেখা চিঠিতে ছত্রে ছত্রে বানান ভুল

জানা গিয়েছে, ব্যারাকপুরের সেন্ট্রাল রোডে কৌস্তভ বাগচীর নির্মীয়মাণ বাড়ি থেকে স্যানেটারি সামগ্রী, ইন্টেরিয়র ডেকোরেশনের বহু সামগ্রী চুরি হয়েছে। সবমিলিয়ে ২.৫ থেকে ৩ লাখ টাকার জিনিসপত্র চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপি নেতার। ওই বাড়ির একটি ঘরে এই সমস্ত নির্মাণ সামগ্রী রাখা ছিল। একটি ঘরে সেগুলি তালা বন্ধ ছিল। সকালে মিস্ত্রিরা কাজে এসে দেখতে পান যে ঘরের দরজা তালা ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। তাছাড়া, সমস্ত সামগ্রী গায়েব ছিল। শুধু তাই নয়, রহস্যজনকভাবে একাধিক মামলার গুরুত্বপূর্ণ নথিও গায়েব ছিল। তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। চোর মামলার নথি চুরি করে কী করবে? তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী। 

তিনি জানান, চুরি হয়ে যাওয়া নথিগুলির মধ্যে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলার নথি রয়েছে। পুরনো চেম্বারে জায়গা না থাকায় তিনি এখানে নথিগুলি এনে রেখেছিলেন। তাঁর প্রশ্ন চোর জিনিসপত্র চুরি করলে সেটা অবশ্যই বিস্ময়কর। তবে মামলার নথিপত্র চুরি করলে সেটা আরও আশ্চর্যজনক। এই ঘটনার পরেই থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন বিজেপি নেতা। অভিযোগ পাওয়ার পরে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ইতিমধ্যে ওই বাড়িতে যে সমস্ত রাজমিস্ত্রিরা কাজ করছিলেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।

কৌস্তভ বাগচী বলেন, ‘এখানে ২.৫ লাখ থেকে ৩ লক্ষ টাকার বৈদ্যুতিন সামগ্রী এবং স্যানিটারি সামগ্রী ছিল। সেগুলি চুরি হয়ে গিয়েছে। তবে তার চেয়ে বেশি আশ্চর্যজনক মনে হয়েছে মামলার নথি চুরি হয়ে যাওয়া নিয়ে। পুরনো চেম্বারে জায়গা না থাকায় এখানে কিছু মামলার নথি এনে রেখেছিলাম। সেগুলি চুরি হয়ে গিয়েছে। একজন চোর এইসব নথি চুরি করে কী করবে?’ তাঁর অভিযোগ, এই এলাকায় চোরেদের উৎপাত যেমন বেড়েছে, তেমনই বহিরাগতদের আগমনও বেড়েছে। শাসকদলের লোকজন এখানে এখানে নিয়মিত মদ্যপান করে থাকে। এ নিয়ে প্রশাসনকে জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন।