Amul in America: আমূল এবার আমেরিকায়, বড় সমবায়ের সঙ্গে গাঁটছড়া

দেশের সীমানা পেরিয়ে এবার সাগরপাড়েও আমূল। প্রথমবার আমূল আন্তর্জাতিকস্তরে গেল। Amul, Taste of India। এই স্বাদ আর পুষ্টিগুনের জাদুতে গোটা দেশে নাম করেছে আমূল। বহু মানুষের প্রিয় এই আমূল। এবার আর শুধু দেশের মাটিতে নয়, আমেরিকার মাটিতেও এবার আমূলের প্রোডাক্ট বিক্রি করা হবে।

গুজরাট কো অপারেটিভ মিল্ক ফেডারেশন (GCMMF) -এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর জায়েন মেহেতা জানিয়েছেন, আমি খুব আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আমেরিকায় ফ্রেস মিল্ক প্রোডাক্ট বেচবে আমূল। আমেরিকার মিশিগানে ১০৮ বছরের পুরনো একটি ডেয়ারি সংস্থার সঙ্গে  আমাদের চুক্তি হয়েছে। ২০ মার্চ ডেট্রয়েটে তাদের বার্ষিক মিটিংয়ে এনিয়ে একটা ঘোষণা করা হয়েছে। 

তিনি সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের কাছে জানিয়েছেন যে, এই প্রথম দেশের বাইরেও মিলবে আমূলের ফ্রেস প্রোডাক্ট। আমেরিকার মতো বাজারেও মিলবে আমূল। সেখানে এশিয়ান তথা প্রচুর ভারতীয় বাস করেন। 

এদিকে সম্প্রতি আমূলের সুবর্ণ জয়ন্তীতে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে তিনি নানা আশার কথা শোনান। সেই সময় আমূলকে বিশ্বসেরার করার টার্গেট বেঁধে দিয়েছিলেন। 

সেই সময় তিনি জানিয়েছিলেন, আমূলকে বিশ্বের এক নম্বর ডেয়ারি কোম্পানি হতে হবে। GCMMF -কে টার্গেট বেঁধে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারাই এই আমূল ডেয়ারি কোম্পানি চালায়। তাদের জন্য এবার বিরাট টার্গেট ঠিক করে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। গুজরাট কো অপারেটিভ মিল্ক মার্কেটিং ফেডারেশন আমূল ব্রান্ডের অন্যতম উদ্যোক্তা। সেই সমবায়ের সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন মোদী। সেখানেই তিনি লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করে দেন।

প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, প্রতি বছরে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ডেয়ারির বৃদ্ধি হয় ২ শতাংশ। আর ভারতের ডেয়ারি সেক্টরে সেটাই বাড়ে ৬ শতাংশ করে।

তিনি জানিয়েছেন, আমূল বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম ডেয়ারি কোম্পানি। এটাকে এক নম্বরে নিয়ে যেতেই হবে। সরকার সবরকম সাপোর্ট করবে। এটাই মোদীর গ্যারান্টি।

এদিকে গুজরাটের বিভিন্ন এলাকা থেকে সমবায়ের প্রতিনিধিরা সেই অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরে নানা ধরনের ব্রান্ড এসেছিল। কিন্তু আমূলের মতো কেউ হতে পারেনি।

সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছিলেন, ভারতের ডেয়ারি সমবায়ের উন্নতিতে মহিলাদের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন ভারতের দুগ্ধ সমবায়ের ক্ষেত্রে মহিলাদের অবদানকে অস্বীকার করা যায় না। তাঁরাই এই দুগ্ধ সমবায়ের মেরুদণ্ড।

তবে এবার আমূল দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতও পা ফেলতে চলেছে।