CBI Raid in Mahua’s Home: শনির সকালেই আলিপুরে CBI, তল্লাশি শুরু হল মহুয়া মৈত্রের ফ্ল্যাটে

তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ তথা কৃষ্ণনগর লোকসভা আসনের প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের কলকাতার বাড়িতে সকাল সকাল অভিযান শুরু করল সিবিআই। কলকাতায় মহুয়া মৈত্রের আলিপুরের বাড়িতে হানা দেন সিবিআই তদন্তকারীরা। জানা যাচ্ছে, সংসদের লগইন আইডি দেওয়ার বিনিময়ে ঘুষ নেওয়ার মামলায় মহুয়ার বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআই। উল্লেখ্য, সেই মামলায় মহুয়ার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন লোকপাল। (আরও পড়ুন: হিন্দু নারীদের সিঁদুর পরা ধর্মীয় দায়িত্ব, পর্যবেক্ষণ পারিবারিক আদালতের)

আরও পড়ুন: দুর্নীতির ‘মাথা’ কেজরি, দাবি ইডির, BJP-কে ৪৪ কোটি চাঁদা দেওয়া ব্যবসায়ী রাজসাক্ষী

রিপোর্ট অনুযায়ী, আলিপুরে ‘রত্নাবলী’ নামক একটি আবাসনে মহুয়া মৈত্র থাকেন। সেখানেই আজ সকাল সকাল পৌঁছে যান সিবিআই আধিকারিকরা। আবাসনের ন’তলায় ফ্ল্যাট আছে মহুয়ার বাবা দ্বীপেন্দ্রলাল মৈত্রের নামে। তদন্তকারী আধিকারিকরা সেখানেই পৌঁছেছেন বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, লোকসভ ভোটের মুখে রাজ্যের শাসকদলের নেতা বা তাদের ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে পরপর অভিযান চালিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। এর আগে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ভাই স্বরূপ বিশ্বাসের অভিযান চালিয়েছিল আয়কর দফতর। এদিকে সম্প্রতি বোলপুরে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। এই আবহে বারবারই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে শাসকদল বিজেপি বরাবরই বলেছে, আইন আইনের পথে চলছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধেই পালটা দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছে পদ্ম শিবির। 

আরও পড়ুন: ‘ওরা পরম বন্ধু’, ভারত বন্দনায় মুইজ্জু, পকেটে টান পড়তেই নয়া আবদার মলদ্বীপের

এদিকে মহুয়ার বিরুদ্ধে ওঠা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের জেরে তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়েছিল গত ডিসেম্বরে। সংসদীয় প্যানেলের সুপারিশে সংসদে ভোটাভুটি করে মহুয়াকে বহিষ্কার করা হয়েছিল লোকসভা থেকে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি আদানি গোষ্ঠীর ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বী হিরানন্দানিকে তাঁর সাংসদ পোর্টালের লগইন আইডি দিয়েছিলেন এবং আদানির বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রশ্ন পোস্ট করতে দিয়েছিলেন। এর বিনিময়ে তিনি হিরানন্দানির থেকে বিভিন্ন দামী উপহার এমনকী নগদ টাকাও নিয়েছিলেন। প্রাথমিক ভাবে মহুয়ার প্রাক্তন বন্ধু তথা আইনদীবী অনন্ত দেহদরাই এই অভিযোগ এনেছিলেন। পরে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে এই নিয়ে সরব হন। পরে বিষয়টি জাতীয় রাজনীতিতে ঝড় তোলে। মহুয়া কাণ্ডকে কেন্দ্র করে বিরোধী একজোট হয়। তবে এবার মহুয়ার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তে নামায় তৃণমূল কংগ্রেস বেশ চাপে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এর আগে ঘুষকাণ্ডে সংসদের এথিক্স কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছিল, লোকসভার সাংসদদের পোর্টালের লগইন আইডি এবং পাসওয়ার্ড অননুমোদিত ব্যক্তিকে দিয়ে সংসদের অবমাননা করেছেন মহুয়া। পাশাপাশি মহুয়া ‘অনৈতিক’ কাজ করেছেন। এই আবহে দেশের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে এথিক্স কমিটির রিপোর্টে মহুয়াকে ১৭তম লোকসভা থেকে বহিষ্কার করার সুপারিশ করা হয়। পাশাপাশি মহুয়া মৈত্রর কর্মকাণ্ড নিয়ে সরকারকে তদন্তের সুপারিশ করা হয়েছিল রিপোর্টে। পরে মহুয়ার বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্তে নেমে লোকপালকে একটি রিপোর্ট পেশ করে সিবিআই। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই সিবিআইকে আরও গভীরে গিয়ে এই মামলার তদন্তের নির্দেশ দেন লোকপাল।