JNUSU Vote: ৩০ বছর পরে, JNU ছাত্র সংসদ ভোটে সভাপতি পদে জয়ী দলিত নেতা, কী তাঁর পরিচয়?

জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ ভোটে এই প্রথম কোনও দলিতকে প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত করা হল। প্রায় ৩০ বছর পরে কোনও দলিতকে এই গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হল। ওই ছাত্রের নাম ধনঞ্জয়। প্রায় ৩০ বছর পরে বামপন্থী কোনও দলিত ছাত্রনেতাকে ওই পদে বসানো হল। 

১৯৯৬ সালের পর থেকে এই প্রথম কোনও দলিত নেতাকে বসানো হল ওই পদে…

তারই কিছু উল্লেখযোগ্য পয়েন্ট দেখে নেওয়া যাক…

১) ধনঞ্জয় হলেন প্রথম দলিত JNUSU প্রেসিডেন্ট। ১৯৯৬-৯৭ সালে এই পদে বসেছিলেন বাত্তি লাল বারিওয়া। তিনিও ছিল বাম ছাত্র নেতা। এরপর এতদিন পদে আবার কোনও দলিত ছাত্র নেতা বসলেন ওই পদে। 

২) এবিভিপি প্রার্থীকে পরাজিত করে ওই বাম ছাত্র নেতা ওই পদে বসেছেন। এবিভিপি ছাত্রনেতা উমেশ সি আজমিরা পেয়েছেন ১৬৭৬টি ভোট। আর আয়সা সংগঠনের তরফে দাঁড়িয়েছিলেন ধনঞ্জয়। তিনি পেয়েছেন ২৫৯৮টি ভোট। তিনিই বেশি ভোট পাওয়ার জেরে JNUSU -র ছাত্র সংসদের সভাপতির পদে বসেছেন। 

৩) ধনঞ্জয় আসলে বিহারের গয়ার বাসিন্দা।

৪) তিনি জেএনইউর স্কুল অফ আর্টস অ্য়ান্ড ইসথেটিক্স বিষয়ের PhD পড়ুয়া। 

৫) এদিকে এবার প্রচারে তিনি নানা বিষয়কে সামনে এনেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে হায়ার এডুকেশন ফান্ডিং এজেন্সি লোন নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। ক্যাম্পাসে জল, স্বাস্থ্য ও পরিকাঠামো সংক্রান্ত নানা সুবিধাকে আরও বৃদ্ধি করার দাবি তিনি তোলেন। 

এদিকে এবার জেএনইউতে কার্যত বামেদের দাপট। কোণঠাসা এবিভিপি। ফলাফল অনুসারে জানা গিয়েছে, জেএনইউ ছাত্র সংসদের সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন বাম যুক্ত ফ্রন্টের আইসা প্রার্থী ধনঞ্জয়। তিনি পেয়েছিলেন ২৫৯৮ ভোট। আর তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের উমেশ চন্দ্র আজমিরা। তিনি পান ১৬৭৬ ভোট। বাম প্রার্থী ধনঞ্জয় জয়ী হয়েছেন ৯২২ ভোটে। এদিকে ছাত্র সংসদের সহসভাপতি পদে বাম যুক্ত ফ্রন্টের এসএফআই প্রার্থী অভিজিৎ ঘোষ পান ২৪০৯ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন এভিবিপির দীপিকা শর্মা। তাঁর ঝুলিতে গিয়েছিল ১৪৮২ ভোট। এই পদে অভিজিৎ জয়ী হন ৯২৭ ভোটে।

ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক পদে বাম যুক্ত ফ্রন্টের বাপসা প্রার্থী প্রিয়াংশী আর্য জয়ী হন ৯২৬ ভোটে। তিনি পেয়েছেন ২৮৮৭ ভোট। আর এবিভিপির অর্জুন আনন্দ পেয়েছিলেন ১৯৬১টি ভোট। আর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে বাম যুক্ত ফ্রন্টের এআইএসএফ প্রার্থী মহম্মদ সাজিদ পান ২৫৪৭ ভোট। এই পদের নির্বাচনে এবিভিপি প্রার্থী গোবিন্দ দাঙ্গি পান ২০৬৬টি ভোট। এই পদটিও ৫০৮ ভোটের ব্যবধানে দখল করে বামেরা।