এক হয়ে গেলেন সুহাইলা–শামিম, মালয়েশিয়ার যুবতী প্রেমের টানে এখন বাংলাদেশে

লক্ষ্মীপুরের এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের টানে বাংলাদেশে আসেন মালয়েশিয়ান তরুণী। এটা প্রথম ঘটনা নয়। বাংলাদেশি যুবকের প্রেমের টানে মালয়েশিয়া থেকে কিশোরগঞ্জে চলে আসেন তরুণী মিসনেওয়াতী বিনতে মিসকে। এসব ঘটনা সবার জানা। কিন্তু এবার আবার প্রেমের টানে চলে এসেছেন আর এক মালয়েশিয়ান তরুণী। এবার মালয়েশিয়ান তরুণী এসেছেন বাংলাদেশের ফরিদপুরে। সুতরাং প্রেমের টান যে জোরালো তা বুঝতে আরও কারও কোনও অসুবিধা নেই। শিক্ষিত যুবতী বাংলাদেশে এসে পড়ায় প্রেমিকও হাত বাড়িয়ে দেন। দেখা হতেই মধুর স্বরে প্রশ্ন, ‘‌কেমন আছো?‌’‌

এদিকে প্রেম তো কোনও বাধা মানে না। আর তাই প্রেমের টানে যুবতী সুহাইলা বিনতে আবদুর রহমান নামের ওই মালয়েশিয়ান যুবতী সুদূর দেশ থেকে পদ্মাপারে এসেছেন। হ্যাঁ, ফরিদপুরের ভাঙ্গায়। তারপর থেকে দারুণ সময় কাটছে তাঁর। গোটা ফরিদপুরের পর যশোর এবং ঢাকা দেখার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছেন ওই যুবতী। রবিবার রাত সাড়ে ১১টার সময় ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের খারদিয়া গ্রামের শেখবাড়ির শামিম শেখের বাড়িতে আসেন মালয়েশিয়ার যুবতী। শামিম নিজেও মালয়েশিয়া–প্রবাসী। আর ওই মালয়েশিয়ার যুবতী কুয়ালালামপুরের একটি রেস্তোরাঁ চালান। ৩৬ বছর বয়সের ওই যুবতী মালয়েশিয়ার এসপিএম বা এসএসসি পাশ করেছেন।

আরও পড়ুন:‌ যান্ত্রিক গোলযোগে শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় থমকাল ট্রেন, চরম ভোগান্তি যাত্রীদের

অন্যদিকে শামিম ২০১৪ সালে কর্মসূত্রে মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন। সেখানেই আড়াই বছর আগে সুহাইলার সঙ্গে পরিচয় হয় শামিমের। আর তা থেকেই গড়ে ওঠে প্রণয়ের সম্পর্ক। মালয়েশিয়ার সেই যুবতীকে কথা দিয়ে কথা রেখেছেন শামিম। বিয়ে করেছেন সুহাইলাকে। আর রবিবার রাতে আত্মীয়স্বজনের সামনে সুহাইলাকে বিয়ে করেন শামিম। তারপর তাঁকে নিয়ে খুবই খুশি শামিমের বাবা–মা। শামীমের বাবা মাহিজ উদ্দিন শেখ এবং মা বেহুলা বেগম বলেন, ‘‌এমন একজনকে পুত্রবধূ হিসাবে পেয়ে আমরা খুবই আনন্দিত। মেয়েটি রোজা রেখেছে। আমাদের একমাত্র ছেলের বউ হিসেবে আমরা তাকে বরণ করে নিয়েছি।’‌

বাংলাদেশের ভোরে সুহাইলা বাগানের ফুল তুলেছেন। যা দেখে অবাক শামিম। সুহাইলার সঙ্গে একটি রেস্তোরাঁয় শামিমের পরিচয় হয়। সেটা তিনি নিজেই জানান। এই সম্পর্ক তিন বছর ধরে চলেছে। অথচ কেউ টের পায়নি। তিনি তাঁকেই বিয়ে করতে চেয়েছিলেন বলেও জানান। সুহাইলাও প্রেমের টানে এখন ফরিদপুরের বাড়ি আলো করেছেন। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাঁকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন শামিম। তারপর বিয়ে করেন। বাংলাদেশে এসে খুশি সুহাইলা। সুতরাং বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সুহাইলা এখন সম্পূর্ণ বধূ হয়েছেন।