গোপনে সরিয়ে ফেলা ৭ লক্ষ টাকা ফেরত চাওয়াতেই খুন, নিউ টাউনে দেহ উদ্ধারে বলছে পুলিশ

নিউ টাউনে ট্রলি ব্যাগ থেকে বৃদ্ধের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেলেন তদন্তকারীরা। মঙ্গলবার ঘটনার পুনর্নির্মাণ করার সময় অভিযুক্ত সৌম্যকান্তি জানার থেকে তাঁরা জানতে পারেন, ৭ লক্ষ টাকা নিয়ে গোলমালের জেরেই খুন হতে হয়েছে বৃদ্ধ সুবোধ সরকারকে। এই খুন সৌম্য একাই করেছেন, না কি তাঁর সঙ্গে অন্য কেউ যুক্ত ছিলেন তা জানতে তাঁকে আরও জেরা করতে চান গোয়েন্দারা।

মঙ্গলবার বেলঘরিয়ার ওল্ড নিমতা রোডে সৌম্যকান্তির ভাড়া বাড়িতে গিয়ে তাঁকে দিয়ে খুনের পুনর্নির্মাণ করান তদন্তকারীরা। সুবোধবাবুর বাড়িও সেই এলাকাতেই। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সৌম্য একটি বেসরকরি ব্যাঙ্কের কর্মী। সেই ব্যাঙ্কেই অ্যাকাউন্ট ছিল সুবোধবাবুর। জেরায় অভিযুক্ত স্বীকার করেছে বৃদ্ধ সুবোধবাবু ফোন ব্যবহারে পটু ছিলেন না। সেই সুযোগে তাঁকে না জানিয়ে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে UPI ব্যবহার করে ৭ লক্ষ টাকা সরিয়ে ফেলেন সৌম্যকান্তি। অ্যাকাউন্টে টাকা কী করে কমে গেল তার তদন্ত করতে গিয়ে সুবোধবাবু ব্যাঙ্ক থেকে জানতে পারেন এটা সৌম্যকান্তির কাজ। এর তাঁকে টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন তিনি। কিন্তু কোনও ভাবেই ওই টাকা ফেরত দিতে চাইছিলেন না অভিযুক্ত।

আরও পড়ুন: দোলের দিন প্রেমিকের বাইকে চেপে রিলস বানাতে গিয়ে বিপত্তি, পড়ে মৃত্যু হল তরুণীর

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার টাকা ফেরত চাইতে ফের সৌম্যকান্তির ভাড়া বাড়িতে যান সুবোধবাবু। সেখানে ২ জনের হাতাহাতি বেধে যায়। যুবক সৌম্যকান্তির ধাক্কায় বৃদ্ধ সুবোধবাবু গিয়ে পড়েন আয়নার ওপর। আয়নার কাচ ভেঙে তাঁর মাথায় ঢুকে রক্তপাত হতে থাকে। এর পর সৌম্যকে পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার হুমকি দিতে থাকেন সুবোধবাবু। এতেই ভয় পেয়ে মুখে কাপড় গুঁজে সুবোধবাবুকে শ্বাসরোধ করে খুন করে সৌম্য। এর পর বাড়িতে আগে থেকে বাড়িতে থাকা একটি ট্রলি ব্যাগে দেহ ভরে শুক্রবার রাতেই দেহ ফেলে আসে নিউ টাউনে।