Anubrata Mondal:‘তিহাড়ে বসেই খেলা হবে’, বীরভূমে দেওয়াল লিখনে থাকল অনুব্রত প্রসঙ্গ

ভোটের মরসুম আসলেই ‘গুড় বাতাসা’, ‘নকুল দানা’ আবার কখনও ‘চড়াম চড়াম’ শোনা যায় বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের কন্ঠে। তবে এবার গরু পাচার কাণ্ডে বর্তমানে তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন তৃণমূল নেতা। ফলে এবার আর শোনা যাবে না অনুব্রতর সেই সমস্ত বাণী। তবে বর্তমানে বীরভূমে না থাকলে ভোটের ময়দানে এখনও রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। দেওয়াল লিখনের মাধ্যমে সেটাই বুঝিয়ে দিল তৃণমূল।

আরও পড়ুনঃ অনুব্রতর কাটআউট, তাতে কী, দাদার পায়ে আবীর দিয়ে সিউড়িতে দোল খেলা শুরু তৃণমূলের

এবারও বীরভূম কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন শতাব্দী রায়। প্রার্থী হতেই তাঁর হয়ে প্রচার শুরু করে তৃণমূল। তৃণমূল প্রার্থী নিজেও প্রচারে নেমেছেন। বীরভূমে এখন শতাব্দীর নামে জোর কদমে চলছে দেওয়াল লিখন। সেই দেওয়াল লিখনেই অনুব্রতর নাম না করে লেখা হয়েছে, ‘তিহাড়ে বসেই খেলা হবে।’ তৃণমূল নেতা কর্মীদের মুখে ভোট আসলে ‘খেলা হবে’ স্লোগান শোনা যায়। তবে অনুভূতহীন বীরভূমে এবার লোকসভার লড়াইটা হবে অন্যরকম। 

অনুব্রত না থাকায় দলের কর্মীদের জোশ বাড়াতেই দেওয়াল লিখনে এমন স্লোগান লেখা শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।  দুবরাজপুর ব্লকের হেতমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হেতমপুর গ্রামে তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দীর সমর্থনে দেওয়াল লেখা হচ্ছে। সেখানেই দেওয়াল লিখনে দেখা যাচ্ছে এই স্লোগান। যা ঘিরে এখন বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছে বীরভূমের রাজনীতিতে।

উল্লেখ্য, গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল এই খেলা হবে স্লোগান। রাজনীতিবিদ তো বটেই তার বাইরেও আট থেকে আশি সকলের মুখে শোনা যাচ্ছিল এই খেলা হবে স্লোগান। পরে আরও বিভিন্নভাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে খেলা হবে স্লোগান। নন্দীগ্রামে বিধানসভা ভোটের আগে পায়ে চোট পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন ‘ভাঙা পায়েই খেলা হবে’ স্লোগান উঠেছিল। আর এবার ‘তিহাড়ে বসেই খেলা হবে’ স্লোগান তৃণমূলের। এ বিষয়ে বীরভূমের তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, ভগবান যেমন আড়ালে থেকে ভক্তদের সাহায্য করেন ঠিক তেমনি তিহাড় থেকে অনুব্রতর শুভেচ্ছা, শুভকামনা, আশীর্বাদ নিয়ে কর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়বেন।

প্রসঙ্গত, অনুব্রত সশরীরের বীরভূমে না থাকলেও দলের কর্মীদের মনের মধ্যে তিনি রয়েছেন। সোমবার দোলের দিন তারই প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল। অনুব্রতর কাটআউটে আবীর দিয়ে তৃণমূল কর্মীরা আবীর খেলেছিলেন। আর এবার দেওয়াল লিখনেও সেই প্রমাণ পাওয়া গেল।